ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাই পারবে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪
শিক্ষাই পারবে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘শিক্ষাই পারবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে’।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



তিনি বলেন, বাঙ্গালি জাতিকে শিক্ষার অধিকার থেকে শুরু করে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করতে হয়েছে সংগ্রাম করে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেছিলেন। মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন।

সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা মনে করি শিক্ষাই পারবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।

এ সময় তিনি সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশংসা করে বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত ৫ বছরে শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার সুযোগ ও সুবিধা আমরা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুদক্ষ, মূল্যবোধসম্পন্ন, দেশপ্রেমিক ও সৃজনশীল নতুন প্রজন্ম।

সে লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছি। যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে তার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। যে প্রজন্ম হবে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ।


তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শিশুরা যেন পড়ার ভারে ন্যূজ হয়ে না পড়ে সে দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই একটি শিশুকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে না। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি চাই শিশুর মানসিক এবং মানবিক বিকাশের সুযোগ।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠনের মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

স্বাধীন দেশের উপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।

আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। আগামীদিনের মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে শুরু হয় সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৪। উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে অংশ নেওয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

দেশব্যাপী সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করতে দ্বিতীয়বারের মত এ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ শেষে অষ্টম, নবম থেকে দশম এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভাগ করে ৩টি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।

 

** ১২ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

 

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।