ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেহাল সড়কে স্কুলে যেতে ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪
বেহাল সড়কে স্কুলে যেতে ভোগান্তি শিক্ষার্থীদের

ময়মনসিংহ: বেহাল সড়কে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ভালুকা উপজেলার অভ্যন্তরীণ অনেক সড়ক।

এর ফলে বর্ষাকালে স্কুলগামী শিশুদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

পাশাপাশি খারাপ সড়কে দুর্ঘটনার ভয়ে অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

রোববার দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে জামিরদিয়া আব্দুল গনি মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজালুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ভালুকা উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে বেহাল। বর্ষায় মূল সড়কে পানি জমে সেগুলো চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনাও বাড়ছে।

‘দুর্ঘটনার ভয়ে আমার বিদ্যালয়ে শতকরা ২৫ ভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। যারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় তাদেরও কাদায় জামা-কাপড় ময়লা হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ’

একই অভিযোগ করেন স্থানীয় অন্যান্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

উপজেলার জামিরদিয়া থেকে মাস্টারবাড়ি, কাশর থেকে মাস্টারবাড়ি, মনোহরপুর-মাস্টারবাড়ি, সিডস্টোর-ঝালপাজা, ভালুকা-উরাহাটি, ভালুকা-গফরগাঁও, সিডস্টোর-কাচিনা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি সড়কেই ছোটবড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমায় যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কগুলো।

সড়ক সংস্কারের ‍দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা জানান, অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো সংস্কারের ‍দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করা হলেও বর্ষাকালের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে গ্রীষ্মকাল এবং গত শীতেও সড়ক সংস্কারের উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, মাস্টারবাড়ি এলাকার মূল সড়কের দু’পাশে প্রায় দুই হাজার পরিবার আছে। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী এ সড়ক ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। অথচ সড়কটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষ কেন আগ্রহ দেখায় না এটাই প্রশ্ন।

স্থানীয় প্রবীণ সমাজসেবক আব্দুস ছাত্তার মাস্টার জানান, এ উপজেলায় বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরি থাকায় প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এ সড়কে চলাচল করে।

সড়ক বেহালের কারণে যাতায়াত ভাড়াও বেড়ে গেছে। যেখানে স্বাভাবিক ভাড়া ১০ টাকা ছিল, সড়ক খারাপ হওয়ায় এখন দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা।

সড়ক সংস্কার প্রসঙ্গে জানতে ময়মনসিংহ এলজিইআরডি উপজেলা প্রকৌশলী কবির উদ্দিন শাহ’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগষ্ট ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।