ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মুম্বাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের মতবিনিময়

আকতারুজ্জামান, মুম্বাই থেকে ফিরে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪
মুম্বাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের মতবিনিময়

ঢাকা: শুধু পাঠ্য-পুস্তকের জ্ঞান নয়। বাইরের জ্ঞানার্জন জীবনকে বিকশিত করে।

ভিন্নদেশের মানুষের জীবন-দর্শন জানতে বাংলাদেশের একশো তরুণ-তরুণীর একটি দল আটদিন ভারত সফর করেছে। ভারতের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে তারা সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করে।

একশ’ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলটি নানা স্থান পরিদর্শনের পর মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নরেশ চন্দ্র, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে অর্জুন দেব উপস্থিত ছিলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নরেশ চন্দ্র। তিনি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তরুণদলকে ধারণা দেন।

নরেশ চন্দ্র বলেন, মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীনে ১৯৬টি, বাণিজ্য অনুষদের অধীনে ৩৬টি, বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ৬৯টি, আইন অনুষদের অধীনে ১৫টি, প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ৩২টি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ, সেন্ট্রাল কম্পিউটিং ফ্যাসিলিটিসহ নিজেকে বিকশিত করার সকল সুবিধাই রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদেরও রয়েছে পাঠগ্রহণের সুবিধা। তিনি আরো বলেন, ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সাতটি ছাত্রাবাস রয়েছে।

এরপরে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের কর্মকর্তারা বেকার সমস্যা সমাধানে সংগঠনের পক্ষ থেকে কারিগরি শিক্ষাসহ সময়োপযোগী বিভিন্ন সেবা প্রদানের কথা জানান। বাংলাদেশের যুবা দল ভারতীয় যুব উন্নয়নের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণদান, স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কার্যক্রম, সচেতনতা তৈরি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।

বাংলাদেশ ডেলিগেটদের পক্ষ থেকেও যুব উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সফল পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় হয়। মতবিনিময়ের শুরুতে বাংলাদেশ দল জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। সুললিত কণ্ঠে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দেশের প্রতি ভালবাসা, মায়া-মমতা আর দেশপ্রেমের জানান দেয় তারা।

এরপর দীর্ঘ দেড়ঘণ্টা ধরে চলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় ও আলাপ-আলোচনা। তাদের আলোচনায় বাদ পড়েনি দু’দেশের বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক, একইসূত্রে গাঁথা সংস্কৃতি, নিজ নিজ ইচ্ছা-অনুভূতির কথাও।

ভুলে যাননি তারা পরস্পরের ই-মেইল ঠিকানা বিনিময় করতেও। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুকে অ্যাড হয়ে বন্ধুত্বের বন্ধনটা আরো বেশী জোড়ালো করে কেউ কেউ।  

ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি বাংলাদেশ ডেলিগেট দলের শাহজামাল খান সৌরভ, রাশেদ আনিস, জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুস সালেকিন, তপন পাল, জিয়াউল হক, মারুফা ইসহাক, সিদরাতুল মুনতাহা তৃণা, শারমিন শান মোনামী, ইসরাত জাহান তানিয়া, সাবরিনা রহমান অর্চি, বুশরা শারমিন, রাহাত খান, মানুসুরা আফিফা খান চেরী, নাজনিন সুলতানা লোপা, যুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।

মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ডেলিগেট দলের শাহজামাল খান সৌরভ বলেন, বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সে দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি বিষয়ে জানা সহজ হয়।

এটি দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় শেয়ারিংয়ের মাধ্যমও বটে। এর মাধ্যমে আউটলুকেরও পরিবর্তন ঘটে। পরে বাংলাদেশ ডেলিগেট দল পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখেন। এক্ষেত্রে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বন্ধুরা গাইড হিসেবে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।