ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সুবিধাবঞ্চিত সাড়ে ৭ হাজার ইবতেদায়ি শিক্ষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
সুবিধাবঞ্চিত সাড়ে ৭ হাজার ইবতেদায়ি শিক্ষক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের এক হাজার ৫শ ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক বিগত ৩১ বছর ধরে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত। মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে বঞ্চিত এসব শিক্ষকদের অবিলম্বে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।


 
সোমবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নেতারা এ দাবি জানান।
 
সংগঠনের মহাসচিব মো. শামসুল আলম বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে গত ৩১ বছর ধরে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ভূমিকা রেখে চলেছে। সারাদেশে এক হাজার ৫শ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সরকারি অনুদান পায়। এরমধ্যে চারজন শিক্ষক এক হাজার ২শ টাকা পেলেও একজন করে শিক্ষক কোনো অনুদান পান না। এ সামান্য বেতন দিয়ে বর্তমান সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ সম্ভব নয়।  

একটি অজানা কারণে মাউশি দীর্ঘ দুই বছর যাবত শূন্য পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ছাড় করছে না বলে অভিযোগ করেন মহাসচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহু ইবতেদায়ি মাদ্রাসা অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ২০০৮ সাল থেকে তা বন্ধ রেখেছে।
নীতিমালার অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দীর্ঘ তিনবছর স্বতন্ত্র ইব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি এস এম জয়নুল আবেদীন জেহাদী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রেখে চলেছেন।

তারপরও মাদ্রাসা শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও উপবৃত্তি থেকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতনসহ সব বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান সভাপতি।
 
মানববন্ধনে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল সাত্তার, আব্দুর রহমান, মাওলানা শাহজাহান, শামসুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
আরইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।