ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রহলের সামনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘ডাস্টবিন’

শরিফুল ইসলাম জুয়েল, ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
ছাত্রহলের সামনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘ডাস্টবিন’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আটটি ব্লকের মধ্যে দু’টিতে বসবাস করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। নিজেদের জন্য রান্না করা মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্টসহ ময়লা-আবর্জনা হলের সামনের রাস্তার পাশেই ফেলেন তারা।

এ যেন অলিখিত ‘ডাস্টবিন’।  
 
হলের সামনে ‘ডাস্টবিন’ গড়ে ওঠায় ত্যক্ত-বিরক্ত শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ বিরক্তি স্থায়ী রূপ নিতে বসেছে বলে অভিযোগ তাদের।
 
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আটটি ব্লকের মধ্যে চারটি ব্লক আন্তর্জাতিক ব্লক। এই আর্ন্তজাতিক ব্লকের দু’টিতে বর্তমানে শিক্ষক-কর্মকর্তারা স্বপরিবারে বসবাস করেন।  
 
ছাত্রহলের ব্লকে শিক্ষকদের বসবাসে এমনিতেই অনেকটাই অস্বস্তি বিরাজ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তার ওপর এখানে বসবাসরত শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাদের পরিবারের রান্না করা মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্টসহ সব রকমের ময়লা-আবর্জনা হলের সামনেই রাস্তার পাশে ফেলেন। প্রায় এক বছর ধরে ময়লা ফেলার কারণে হলের সামনের ওই স্থান যেন স্থায়ী ‘ডাস্টবিনে’ পরিণত হয়েছে।
 
বর্তমানে ময়লা-আবর্জনা পচে এমন দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে যে ওই রাস্তায় চলাচল করা প্রায় অসম্ভব। এর আগেও কয়েক দফায় বঙ্গবন্ধু হল প্রশাসনকে বিষয়টি অবিহিত করলেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ২০১০ সালে তৎকালীন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বঙ্গবন্ধু হলের সামনে একটি বাগান করেন। যেখানে আম, লিচু, আতা, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন ফলজ ও ওষুধি গাছ লাগানো হয়। সেই বাগানটির ও প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হলের সামনের পুকুরের পাড় ঘেষে ময়লা ফেলার কারণে বর্ষাকালে এসব বর্জ্য ধুয়ে পুকুরেও পড়ে।   ফলে একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধু হল তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে তেমনি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।
 
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র শাহাদাত, নাজমুল, হাসান, মোজাহিদ, মামুন, সোহাগ, জানান, হলের সামনে এভাবে ময়লা ফেলা হয় কিন্তু প্রশাসন যেন তা চোখে দেখে না। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হতে গেলেই এ দুর্গন্ধ নাকে আসে।  
 
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের বাসার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ার হল প্রশাসনের নেই। এছাড়া ছাত্রদের হলে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের থাকা সম্পূর্ণ বে-আইনি। তারপরও শিক্ষার্থীদের কোনো কিছুতে বিঘ্ন হয় -এমন কোনো কাজ অবস্থানকারীরা করাটা বেমানান। আশা করি সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬       
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।