ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২০১২ সালেই নারী-পুরুষ সমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৭
২০১২ সালেই নারী-পুরুষ সমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ;ছবি-কাশেম হারুন

ঢাকা: বাংলাদেশ ২০১২ সালেই নারী-পুরুষ সমতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৫ম জাতীয় স্কুল বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৭- এর চূড়ান্ত আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের নারীরা এখন পুরুষদের চেয়েও বেশি এগিয়ে গেছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়ে শিক্ষার্থী শতকরা ৫১ ভাগ ও ছেলে ৪৯ ভাগ আর উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়ে শতকরা ৫৩ ভাগ ও ছেলে ৪৭ ভাগ।

আজও তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি যে, আজকের চূড়ান্ত বিতর্কে দুটি স্কুলই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। আর নারীদের শিক্ষিতের হার বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মেয়েরাও চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম।

বিজ্ঞান শিক্ষায় বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যখন  ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন দেখেছি বিজ্ঞান শিক্ষা এতটা জোরদার ছিল না। আমরা সেই দিকে ব্যাপক নজর দিয়েছি। বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি দুটোই জরুরি বিষয়। আমরা দেশকে উন্নত সংস্কৃতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই বিজ্ঞানসম্মতভাবে।  

এ সময় তিনি এরকম আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ আয়োজন অব্যাহত রাখাসহ জ্ঞানচর্চামূলক আরও প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য উৎসাহিত করেন।  

বসুন্ধরা খাতা ও এসিআই পিওর সল্টের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ড. রেজাউর রহমান, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারোয়ারসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য হচ্ছে মাদক আর জঙ্গিবাদ। আর দেখা যায় শিক্ষার্থীরাই এ ধরণের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু জ্ঞান, বিজ্ঞানের জগৎ বা আজকের মত এ রকম চর্চায় শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত থাকলে এগুলোকে এড়িয়ে চলা সম্ভব। আর বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলেও সৃজনশীল কাজের সাথে সব সময় থাকে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে 'বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাই সাম্প্রদায়িকতা রুখতে পারে' বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত বিতর্কে সিলেটের সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পক্ষে ও রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বিপক্ষে অবস্থান করে। চূড়ান্ত বিতর্কে বিজয়ী হয় রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্রেষ্ঠ বক্তা হন বিজয়ী দলের দলনেতা মিফতাহুল জান্নাত রিফাত। সারাদেশের ৫২০ টি স্কুল এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল।  

মিফতাহুল জান্নাত রিফাত বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহী থেকে যে আশা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম তা পরিপূর্ণ করে ফিরে যাচ্ছি। আজকের বিতর্কের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। প্রতিপক্ষ দলও যথেষ্ট ভালো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিল। যে কারণে আমাদের জিততে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৭
এমএএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।