ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

চলতি অর্থবছরেই প্রাথমিকে ৬১ হাজার শিক্ষকের পদ সৃজন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
চলতি অর্থবছরেই প্রাথমিকে ৬১ হাজার শিক্ষকের পদ সৃজন

ঢাকা: চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরেই ৬১ হাজার ১৬৬ শিক্ষকের পদ সৃজন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. আকরাম-আল-হোসেন সমাপনী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

পর্যালোচনা সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক বিভাগের আলোচনায় জানা যায়, কর্মসূচির আওতায় চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে ৬১ হাজার ১৬৬ শিক্ষকের পদ সৃজন করা হবে। এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।  

এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের আলোচনায় জানা যায়, গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৩টি বিদ্যালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  

চলতি অর্থবছরে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বিদ্যালয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষসমূহে ২৬ হাজার আইসিটি প্যাকেজ বিতরণ করবে।

প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা।  পর্যালোচনা সভায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচটি বিষয় নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন হয়। এগুলো হচ্ছে- মান নিশ্চিতকরণ, ন্যায় সঙ্গত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন, অর্থ ও ক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠু সমন্বয় ও অংশীদারিত্ব।

৪ আগস্ট শুরু হওয়া এই পর্যালোচনা সভায় কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ৫টি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।  

যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এই কর্মসূচিতে গত একবছরে হাতে নেওয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। এতে খাতওয়ারি পর্যালোচনা, ষান্মাসিক পর্যালোচনা, হিসাব নিরীক্ষণ পর্যালোচনা, পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় পর্যালোচনায় দেখা যায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি যথাযথ গতিতে এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) কর্মসূচিতে পূর্ত, অবকাঠামো ও প্রকৌশলগত সহযোগিতা করছে।

পাঁচ বছর মেয়াদি চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সরকারের নেওয়া প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কর্মসূচিটি শুরু হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।