ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে আন্দোলনকারীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯
জাবিতে আন্দোলনকারীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আন্দোলনকারী নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাইমুমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

এদিকে, মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বের করে দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক মণ্ডল।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার সাইমুম বলেন, ‘আমি সকালের নাস্তা করতে দোকানে যাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোনে একটা জরুরি কল এলে রিসিভ করে কথা বলতে থাকি। এ সময় আমার পাশে বসে থাকা ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক হঠাৎ আমার ওপর চড়াও হন এবং আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। আমি নিজের পরিচয় দেই। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা তার বন্ধু আমার হাত চেপে ধরেন। আর অভিষেক দোকানে থাকা বাটাম দিয়ে আমাকে মারধর করতে থাকেন। তবে তার সঙ্গে আমার পূর্ব কোনো শত্রুতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে আমাকে মারধর করা হয়েছে। ’

মারধরের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সাইমুম।
 
মারধরের কথা স্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘মারধরের সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। সকালে আমি এবং আমার বন্ধু দোকানে নাস্তা করতে যাই। সাইমুম আমাদের টেবিলে বসে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন এবং দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। আমি তখন তাকে অন্য টেবিলে গিয়ে বসতে বলি। কিন্তু সেটা না করে উল্টো আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। পরে তাকে মারধর করেছি। আমি জানতাম না তিনি আন্দোলনকারী অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার নেতা। ’

আন্দোলনকারী নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘এক দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আলোচনার আহ্বান করছেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতার হাতে আমাদের কর্মী মারধরের শিকার হচ্ছেন। এভাবে আলোচনা এবং মারধর এক সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি আগে মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বের করতে হবে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তারপর আমরা আলোচনায় বসবো। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।