ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবির ঘটনায় শিক্ষকেরা লজ্জিত: আরেফিন সিদ্দিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
জাবির ঘটনায় শিক্ষকেরা লজ্জিত: আরেফিন সিদ্দিক আলোচনা-সভায় বক্তব্য রাখছেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যে ঘটনা ঘটেছে তাতে শিক্ষকরা লজ্জিত। উন্নয়ন কাজের টাকায় ছাত্র রাজনীতিকরা ভাগ বসায়, সেখান থেকে টাকা চায়, এটি অচিন্তনীয়। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এসব ঘটছে। ‘ভাগাভাগি’ হচ্ছে। হয়তো ‘ভাগাভাগি’র বিষয়গুলো সেভাবে গণমাধ্যমে আসে না।’

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।

জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ‘আমাদের শিক্ষা ও আজকের ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।

স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সাজিদুল ইসলাম।

আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ হবে এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাই চাইবে। এখানে যারা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায় এটি অচিন্তনীয়। কেন তারা এসব করছে? শুধু কী শিক্ষার্থীদের দোষ? কারা তাদের ব্যবহার-অপব্যবহার করছে এটি দেখতে হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসনে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যোগসাজশে অপকর্ম করেছে। এগুলোও তদন্ত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সততার শিক্ষা দেবেন শিক্ষকরা। এ শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই আমাদের সন্তানরা চাঁদাবাজি করছে। অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে এ ব্যর্থতা আমাদের। আমরা নানাভাবে সমাজকে কলুষিত করে চলেছি। তার প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে।

এ শিক্ষাবিদ বলেন, শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে যে জাতি সে জাতির তো কোনো অন্যায় করার কথা না, কোনো দুর্নীতি করার কথা না। একজন সুশিক্ষিত মানুষ কখনও মিথ্যা বলতে পারে না, সুশিক্ষিত মানুষ দুর্নীতি করতে পারে না। কিন্তু আমরা দেখছি, যিনি দুর্নীতি করছেন তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। কীসের উচ্চশিক্ষা? এটি তথাকথিত উচ্চশিক্ষা, তার সনদ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ কথাটিই বলে গেছেন যে সাধারণ মানুষ দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিতরা।

সাবেক এ উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ছাত্র ভর্তি হয়েছে, তারা ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির একমাত্র নিয়ম ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, বেসরকারি শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনার সরকার। শিক্ষায় যে বৈষম্য কমেছে তাও তার অবদান। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, শিক্ষা আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশবিশেষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।