ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ’

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ’ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে জাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাবি: বিচারহীনতার সাংস্কৃতির জন্যই ধর্ষণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে একথা বলেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি অমর একুশে, মেয়েদের হল, পরিবহন চত্বর ঘুরে মুরাদ চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, ধর্ষণের জন্য দু’টি বিষয় দায়ী। প্রথমত, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং দ্বিতীয়ত, সামাজিক মূল্যবোধের অভাব। ধর্ষণের অভিযোগ করলে মেয়েদের নানাভাবে জেরা করা হয়। সমাজ তাদের দিকেই আঙুল তোলে। তার চলাফেরা ও পোশাক-আশাকের দিকে আঙুল তোলা হয়। অথচ ধর্ষকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর ভাষ্য মতে, যে তাকে ধর্ষণ করেছে সে ঠাণ্ডা মাথায় এ কাজটি করেছে। এর আগেও সে ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাহলে প্রশ্ন ওঠে ধর্ষক এ সাহস কোথায় পেয়েছে? বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই ধর্ষক বারবার পার পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে।  

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিল। আজ আমরা ছাত্রলীগকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মিছিল করতে দেখলাম। কিন্তু আমরা আসলেই জানি না ওই মিছিলের মধ্যে কোন ধর্ষকামী ছিল কি-না। সুবর্ণচরে নির্বাচনের সময় যে মা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, তার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ কোনো কর্মসূচি দেয়নি। কারণ তারা মনে করেছিল এটা বৈধ। রাজনৈতিক কারণে যেসব ধর্ষণ হচ্ছে আমরা তার বৈধতা দিচ্ছি। আমরা আহ্বান জানাবো ছাত্রলীগ আজকে যে কর্মসূচি শুরু করেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ জামান বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও আমাদের মা-বোনদের ধর্ষিত হতে হয়। কিন্তু ধর্ষকদের বিচার হয় না। রাষ্ট্র আমাদের বোনদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমরা আন্দোলনে নামলে রাষ্ট্র আমাদেরকে আশ্বস্ত করে। নিজ উদ্যোগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার মাধ্যমে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানাই আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।