ঢাকা: চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে প্রথম পর্যায়ে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৯ আগস্ট সকাল ৭টা থেকে ২০ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেন।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করেছে ৯৫ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নয়টি সাধারণ বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন করতে হবে। আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিতে পৃথক আবেদন করতে হবে। কারিগরির শিক্ষার্থী বাদে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৮ শিক্ষার্থী আবেদনের যোগ্য। তাদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী। ফলে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ দুই লাখ ৫১ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তি হতে আবেদন করেননি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শতভাগ শিক্ষার্থী কোনো বছরই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করেন না। এখনও যারা আবেদন করেনি তারা আরও দুই দফায় আবেদনের সুযোগ পাবেন। যারা দেশের বাইরে পড়তে যাবেন তারা সাধারণত আবেদন করেন না। যারা ভালো ফল করতে পারেনি তারা পরেরবার আবারও পরীক্ষা দেবে তাই তারাও আবেদন করেনি।
তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থী ধরে রাখতে তাদের নামে আবেদনও করে রেখেছে, এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ ‘ভুতুড়ে আবেদন’ সুরহা করতে বিভিন্ন বোর্ডে ধরনা দিতে হচ্ছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের। একাদশে ভর্তির সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৫ আগস্ট রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে।
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর ৫-৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। এরপর আগামী ৭-৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ সেপ্টেম্বর। ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। আর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে হবে।
২০১৫ সাল থেকে ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
এবার সাত হাজার ৪৭৪টি সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন রয়েছে। আর মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী।
এবার শুধু অনলাইনের (www.xiclassadmission.gov.bd) মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করছেন শিক্ষার্থীরা।
একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে পাঁচটি কলেজ পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দ অনুসারে তাকে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস/