রাবি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মার্চের মাঝামাঝিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। ফলে দুই একটি কোর্স বাকি থাকতেই স্থগিত হয়ে যায় বিভিন্ন বর্ষে চলমান ফাইনাল পরীক্ষা।
পরীক্ষা অসমাপ্ত থাকায় একদিকে তারা যেমন অনলাইনে পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না, অন্যদিকে রয়েছে সেশনজট আর চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা। এসব কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন দিন হতাশা বাড়ছে তাদের।
ফলে অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৯ অক্টোবর) আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি (সম্মান) পার্ট-৪ এর শিক্ষার্থী। গত ৫ মার্চ তারিখে আমাদের পরীক্ষা শুরু হয় যা শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ছিলো ২ এপ্রিল। কিন্তু ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সরকার গত ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে, যা এখনো চলমান। ফলে আমাদের ৫টি কোর্সের পরীক্ষা অসমাপ্ত থেকে যায়। এতে আমাদের সনদপ্রাপ্তির সময়কাল অনির্দিষ্টকালের জন্য দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
আরও উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষা অসমাপ্ত থাকার ফলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে মনে করি। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক ১৩তম জুডিসিয়ারি নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক অংশের সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ববর্তী পরীক্ষা থেকে জানা যায় মৌখিক পরীক্ষার পরপর দ্রুত সময়ে পরবর্তী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়।
আমরা আশঙ্কা করছি, পরবর্তী বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবো না। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি চাকরিসমূহের বয়সসীমা সুনির্দিষ্ট হওয়ায় চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগও কমে যাচ্ছে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাইম মিতু, রুবাইয়া এলিন সুধা, মাহমুদুল হাসান, ইমরান ভূঁইয়া, আব্দুল আলীম, মাসরুখ হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
আরএ