ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের বাড়ি যাওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে তাদের বিভাগীয় শহরে পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী।
বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার মাধ্যমে এ দাবি জানায় তারা।
অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর এবং পরিবহন প্রশাসকের কাছে এ স্মারকলিপি দেন তারা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম স্মারকলিপি পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
এছাড়াও শাখা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ ও সহ-সভাপতি আখতার হোসেন আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে স্মারকলিপির একটি কপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে শাখা ছাত্র মৈত্রীর নেতারা বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ কমানোর লক্ষ্যে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউন বাড়ানো হয়েছে যা পবিত্র ঈদুল আজহা পর্যন্ত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলায় করোনা সংক্রমণ হার ভয়ানকভাবে বেড়েছে যা ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মেস ও বাসাবাড়িতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে ও তাদের মনে আতঙ্কের সঞ্চার করেছে।
গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে বাসাবাড়ি বা মেসে হঠাৎ সিট না পাবার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা গত ঈদুল ফিতরের পরপরই ক্যাম্পাস আশেপাশের বিভিন্ন মেস ও বাসাবাড়িতে অবস্থান শুরু করে।
পরবর্তীকালে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিদ্যমান লকডাউনে দূরপাল্লার সকল গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে নিজ বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে না পারার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় উক্ত অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এবং পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভিসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে কতজন শিক্ষার্থী আছে এর একটা পরিসংখ্যান বের করতে। কোনো কোনো জেলায় কতজন শিক্ষার্থী আছে এটা বের করতে পারলে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এটা নিয়ে আমি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি কোথায় কেমন শিক্ষার্থী আছে একটা পরিসংখ্যান দিতে। শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে একটা পরিকল্পনা নিতে বলেছি প্রক্টরকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২১
এনটি