ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় নেতাদের অংশ নেওয়ার আহ্বান সিইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় নেতাদের অংশ নেওয়ার আহ্বান সিইসির

ঢাকা: যাদের জনপ্রিয়তা আছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যাদের নিবিড় সম্পর্ক, তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের সবাইকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

 

ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ মে চার ধাপে দেশের ৪৫২টি স্থানীয় এই সরকারের ভোটগ্রহণ করা হবে। জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে বড় এই ভোটেও দলীয় প্রতীক থাকবে না বলে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে।  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলে এটার ভালো দিক আছে। এটা তো জাতির জন্য নয়, এলাকার জন্য। স্থানীয় সরকার ছোট একটা এলাকায় পরিচালিত হয় সীমিত ক্ষমতা নিয়ে। পাকিস্তানেও (জাতীয় নির্বাচনের ইমরান খানের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট করেছেন সম্প্রতি) বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। দলীয় প্রতীক নিয়ে, বা ছাড়াই হোক, আমরা চাই সুন্দর হোক।  

তিনি বলেন, আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশিষ্টজনরা, যারা স্থানীয়দের ভালোবাসেন, জনপ্রিয়তা আছে, তারা যে দলেরই হোক, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ভোটার উপস্থিতি স্থানীয় নির্বাচনে সব সময় অনেক বেশি। সেখানে প্রার্থীর সঙ্গে ভোটারের সম্পর্ক অনেক নিবিড়। আমরা আশা করবো, আগামীতে আরও নির্বাচন হবে, স্থানীয় নির্বাচনে আপনারা (গণমাধ্যম) দৃষ্টি রাখুন।  

সিইসি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে। নির্বাচনকে যদি আরও স্বচ্ছ, উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন।  

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমার সহকর্মীরা চমৎকার কাজ করেছেন, একটা জেলার মধ্যে তিনটা পর্বে নির্বাচন করি, ভারতে যেমন তিন মাস ধরে হয়, আর এখানে যদি তিনটা পর্বে হয়, একই জেলায়; তাহলে একই ডিসি, একই পুলিশ সুপারের অধীনে নির্বাচন করা যায়। এটা নির্বাচনকে অনেক সহজ করে দেবে। একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য এটা সহজ হয়ে যাবে। ভোটার আসছে কি না, সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি-না, এমন বিষয় পর্যালোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এটা প্রয়োগ হচ্ছে। এটা বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হতে পারে।  

নির্বাচন কমিশনের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) পুরাতন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর ও নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শীর্ষক অনুষ্ঠানটিতে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংগঠনের নেতারা ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।