ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক উপ-নির্বাচন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে ভোটের সরঞ্জাম 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
কুসিক উপ-নির্বাচন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে ভোটের সরঞ্জাম 

কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার (৯ মার্চ)। ইভিএমের মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

শুক্রবার (৮ মার্চ) কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ভোটগ্রহণের সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত হয়ে এসব সরঞ্জাম গ্রহণ করেন। এর আগে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে পুলিশ সদস্যদের দিক-নির্দেশনা দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।  

নির্বাচনের আগেই প্রার্থীর সমর্থক ও আত্মীয়-স্বজনদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। তাই শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো কুমিল্লাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনার দাবি ওঠে। প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে কুমিল্লাকে।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, আগামী শনিবারের নির্বাচনে আমরা সক্ষমতার সবটুকু প্রয়োগ করতে চাই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। তারপরও যদি নেতিবাচক ঘটনা ঘটে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে যাতে ফোর্স সেখানে যেতে পারে সে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা চেয়েছি, কমিশন তা পুরোপুরি দিয়েছে।  

কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার ২৭টি ওয়ার্ড ও ১০৫টি কেন্দ্র নিয়ে এ সিটি করপোরেশন। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ প্রার্থী। ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ২৮২ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৪০টি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১০৫ জন, সহকারী প্রিসাইডিং ৬৪০ জন, পোলিং এজেন্ট এক হাজার ২৮০ জন। প্রতি তিন ওয়ার্ডে একজন করে নয়জন ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে সব ওয়ার্ডে একজন করে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। ১০৫ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১২ প্লাটুনে ৪৫০ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র‍্যাব ২৭টিমে ৯৩৯ জন, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে এক হাজার ৩৩৯ জন ও নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া দুটি থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।  

কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, কুমিল্লাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও। কোনো বিশৃঙ্খলা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।