নির্মাতা নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় নির্মিত হলো বিশেষ নাটক ‘ফুলের বিবাহ’। নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ দিয়েছেন রাজীব মণি দাস।
নাটকের শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর, জান্নাতুন নূর মুন, সোহেল খান, সাহেলা আক্তার, ফরিদ হোসেন, ফাহমিদা রহমান তৃষা, আল মামুন রুপান্তর, অনন্যা খান, কাজী বাবুল প্রমুখ।
নাটক প্রসঙ্গে নির্মাতা নাজনীন হাসান খান বলেন, একটা মেয়ে সারাজীবন ধরে স্বপ্ন বুনে সুন্দর ও মনের মতো একজন স্বামীকে নিয়ে। বিয়ের দিন হলো সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। বধূ বেসে বসে থাকে বরপক্ষের আসায়। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে তবুও বরপক্ষের আসার খবর নেই। তারপর যখন খবর আসে বর গাড়ি থেকে পালিয়েছে, তখন ঐ মেয়েটির মনের অবস্থা কেমন হয়, আর তার পরিবারের অবস্থা! ঠিক এমনই একটি গল্প নিয়েই আমার এবারের নির্মাণ ‘ফুলের বিবাহ’ । আশা করি দর্শকের মনকে গল্পটি আন্দোলিত করবে।
‘ফুলের বিবাহ’ গল্প গড়ে উঠেছে একদল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেদের কেন্দ্র করে। নাটকের কাহিনিতে দেখা যায় তিন ছেলে বন্ধু সবাই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মেসে থাকে। একদিন কাজের বুয়া রান্না করতে আসে না। তিন বন্ধু হোটেলে খেতে যায়। গিয়ে দেখে সব হোটেল বন্ধ। জানতে পারে পহেলা মে ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ হওয়ায় আজ সকল শ্রমিকদের ছুটি। তাহলে খাবার পাবে কোথায় সে প্রশ্নের উত্তর যে নেই। মেসেও কেউ রান্না করতে পারবে না। ঐদিকে ক্ষুধায় সকলের পেট যেন ছুঁ ছুঁ করতে থাকে।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত ইমরানের মাথায় আসে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে খাবে। ইমরানের পরামর্শে সবাই একটা বিয়ে বাড়িতে ডুকে পড়ে। কেউ তাদের চিনতে পারে না, আর এই সুযোগে সবাই বিয়ে বাড়িতে সবার সঙ্গে মিশে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। বিয়ে বাড়িতে নাচে-গানে সবাইকে মাতিয়ে রাখে। হঠাৎ খবর আসে বর পালিয়ে গেছে, পরিবারের কর্তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কথায় আছে বিয়ের ফুল না ফুটলে কেউ কোনোদিন বিয়ে করতে পারে না। কনে পক্ষের আত্মীয়-স্বজন সবার মন খারাপ। মান-সম্মান যেন ধুলোয় মিয়ে গেছে। এই রকম পরিস্থিতিতে ইমরান এগিয়ে আসে ইতিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু ইতির বাবা তাতে রাজী হয় না।
এমনই পড়তে পড়তে উত্তেজনাপূর্ণ গল্প নিয়ে নির্মিত হয় ‘ফুলের বিবাহ’ । নাটকটি খুব শিগগিরই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা যায়।
এনএটি