১৯৮২ সাল থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। বাংলাদেশেও প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন করে থাকে বিভিন্ন নৃত্য সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। এ উপলক্ষে নৃত্যের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নন্দিত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। একসময় বাংলাদেশ ও ভারতের সাড়া জাগানো নৃত্যশিল্পী ছিলেন বলেও জানান তিনি।
মঞ্চে নৃত্য পরিবেশনের সময় তোলা নিজের কয়েকটি পুরনো ছবি প্রকাশ করে অঞ্জনা ফেসবুকে লেখেন, ‘সবাইকে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের শুভেচ্ছা। এই নৃত্যশিল্পের কারণে আমি অঞ্জনা, নৃত্যশিল্পী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবার কারণেই চলচ্চিত্রে পদার্পণ ছিল আমার সুপ্রসন্ন। ’
‘অশিক্ষিত’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা লেখেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের আমি একমাত্র নায়িকা যে প্রথম চলচ্চিত্রে আমার নামের পাশে নবাগতা টাইটেল ব্যবহার করা হয়নি। কারণ সেই ছোট্ট বয়স থেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশ ও ভারতে সাড়া জাগানোর ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী হিসেবে আমি পরিগণিত হই। তারই সুফল স্বরূপ চলচ্চিত্রে আগমন ছিল আমার সহজ সাধ্য। বাংলা চলচ্চিত্রে আমার পদার্পণের লক্ষ্যে আমি চিরকৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি বাংলা চলচ্চিত্রের আমার ওস্তাদ কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ডেশিং হিরো মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ভাইয়ের প্রতি। কারণ নৃত্য আমার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্যই তিনি আমাকে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসেবে আগমন করান। ’
অঞ্জনা আরও জানান, নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি তিনবার জাতীয় পুরস্কার ও দশবার আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পীর পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৯ সালে প্রায় একশ’ দেশের প্রতিযোগীর মধ্যে তিনি বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন হন। এছাড়া ১৯৮২ সালে মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স প্রতিযোগিতায়ও তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। এগুলো ছাড়াও নৃত্যশিল্পী হিসেবে আরও অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তার ঝুলিতে।
শামসুদ্দীন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অঞ্জনার ঢালিউডে অভিষেক ১৯৭৮ সালে। ২৬২ সিনেমায় অভিনয় করা অঞ্জনা আশির দশকে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। সাবলীল অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন তিনবার। তবে এখন আর তাকে বড় পর্দায় দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
জেআইএম