ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিপন্ন প্রজাতির আহত খয়রা-মেছোপেঁচা উদ্ধার 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৯, মে ৩, ২০২৫
বিপন্ন প্রজাতির আহত খয়রা-মেছোপেঁচা উদ্ধার  উদ্ধারকৃত আহত খয়রা-মেছোপেঁচা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে একটি বিপন্ন প্রজাতির আহত খয়রা-মেছোপেঁচা উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মো. খান বলেন, বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন শুক্রবার (২ মে) খয়রা মেছো পেঁচাটি নিয়ে আসেন।

পরে একে প্রয়োজনীয় সেবা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খয়রা-মেছোপেঁচাটি গ্রামাঞ্চলে ভুতুম পেঁচা নামে বেশি পরিচিত। ইংরেজি নাম ব্রাউন ফিশ আউল (Brown fish owl)।

এ প্রজাতির পেঁচার মূল খাদ্য মাছ। ছোট ও মাঝারি ইঁদুর-ব্যাঙও খায়। নিশাচর এ পাখিটি যেকোনো এক পা দিয়ে মাছ ধরে গাঁথে, তারপর উড়াল দিয়ে গাছের ডালে বসে। আগে গ্রামে হরহামেশাই, বিশেষত হেমন্ত-শীতে রাতে ভুতুমপেঁচার গুরুগম্ভীর ‘ভূত ভূত...ভূত ভুতুম’ বা ‘বুদ বুদ বুদ বুদুম’ ডাক শুনে অনেকে ভয় পেত।

খয়রা-মেছোপেঁচা লম্বায় ৫২-৫৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। মাথা, ঘাড়, গলায় কালোর ওপর সাদা ছোপ। মাথার দুই পাশের পালক খানিকটা লম্বা হওয়ায় তা কানের মতো মনে হয়। পিঠ বাদামি-কালো টান। বুক ও পেটে রয়েছে হালকা বাদামি-কালো লম্বা টানের ছিট। চোখ গোলাকার বড়সড়, জ্বলজ্বল করে। পা ফিকে হলদে। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। এদের প্রজনন সময় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। বাসা বাঁধে গাছের প্রাকৃতিক কোটরে অথবা পুরোনো দালানের ফোকরে। ডিম পাড়ে এক-দুটি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৩০-৩৫ দিন। এটি এখন খুবই কম দেখা যায় বলে তিনি জানান।

বিবিবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।