মৌলভীবাজার: গৃহপালিত অনেক হাঁস-মুরগি বেশ কয়েক মাস ধরে খেয়ে আসছিল অজগর। গ্রামের মানুষেরা তখনও বুঝতে পারেনি, তাদের হাঁস-মুরগি ধীরে ধীরে কমছে কেন? অবশেষ খুঁজে পাওয়া গেল হাঁস-মুরগি না পাওয়ার সেই একমাত্র কারণ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।
সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলার ইসবপুর লামাবাড়ি এলাকায় মানুষের গৃহপালিত হাঁস-মুররি ধরে খেয়ে ফেলা সেই অজগর সাপটি বাঁশের ঝাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাপটি ৫/৬ মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাঁস-মুরগী ধরে খেয়ে আসছিল।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে একটি হাঁস খেয়ে বাঁশঝাড়ে উঠে পড়ে অজগরটি। গ্রামের কয়েকজন সাপটিকে বাঁশঝাড়ে দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা সাপটিকে মেরে ফেলার উদ্যোগ নেয়। এ সময় কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি এগিয়ে এলে সাপটির প্রাণ রক্ষা পায়।
খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল দ্রুত সময়ের মধ্যে লামাবাড়ী গ্রামে পৌছেন সাপটিকে বাঁশের ঝাড় থেকে অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে আনেন। সাপটি উদ্ধারে সহযোগিতা করেন পরিবেশকর্মী রাজদীপ এবং রিদন।
স্বপন দেব সজল আরও জানান, কিছুদিন পরপর গ্রামবাসীর পোষা হাঁস-মুরগি খোয়া যেতো। কিন্তু কিভাবে খোয়া যায়, সেটা ভেবে পাচ্ছিলেন না কেউ। বাঁশঝাড় থেকে অজগরটি উদ্ধারের পর এ রহস্য বেরিয়ে আসল। মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে অজগরটি হাঁস-মুরগি ধরে খেয়ে বাঁশের ঝাড়ের ওপর আশ্রয় নিতো।
১১ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১২ কেজি ওজনে এই অজগরটিকে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বনবিভাগের কাছে বুধবার হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অজগর বিষহীন প্রজাতির সাপ। এরা বিষধর সাপের মতো ছোবল মারে না। অজগর শিকারকে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তারপর গিলে খায়।
বিবিবি/এএটি