ঢাকা: ‘মা বাঁচাও! দেখ ওই পাখিগুলো কিছুতেই আমার পিছু ছাড়ছে না। ’ এভাবেই বুঝি ডাক ছেড়েছিল শিশু জলহস্তিটি।
কিন্তু জলহস্তি শাবক যে তাদের এই আবদারে মোটেও রাজি নয়। তাই হয়তো সে শরীর ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। বলছি জাম্বিয়া ন্যাশন্যাল পার্কের কোনো এক রৌদ্রজ্জ্বল দিনের মিষ্টি গল্প।
অক্সপেকার জলহস্তি তথা সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর বন্ধুই বটে। তারা এসব প্রাণীর পিঠে চড়ে তাদের শরীরের পরজীবী খেয়ে বিনামূল্যে উপকারই করে বটে। তবে এই শিশু জলহস্তি হয়তো তা বোঝেইনি। আকস্মিক আক্রমণ ভেবে দৌড়ে মার আশ্রয় চাইছে।
‘মা দেখো ওরা যে আমায় ছাড়ছেই না!’ জলহস্তি শাবক বুঝি এমনটাই বলছিল তখন।
পাখিগুলোর ভয়ে সে যখন পানির দিকে দৌড়াচ্ছিল তখন পাখিগুলো তার পিঠে বসে ছিল নিশ্চিন্তে।
বিরক্তিভরা মুখে পাখিদের তাড়াতে এখনো ব্যস্ত শিশু জলহস্তি।
জলহস্তির নড়াচড়ায় পরজীবী খেতে না পেরে ব্যর্থ পাখিরা একে একে উড়তে শুরু করলো।
জলহস্তিটি আচানকই তেড়ে আসে ছবির ফটোগ্রাফার মিস্টার মলের দিকে।
হঠাৎই তার দিকে তেড়ে আসায় কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও পরক্ষণেই ৫৬ বছর বয়সী মল বুঝতে পারেন যে জলহস্তি শাবক তাকে নয় মূলত অক্সপেকারদের তাড়াতেই তেড়ে এসেছিল।
মিস্টার মল জানান, ছোট্ট শাবক পালকাবৃত বন্ধুদের সম্পর্কে অবগত নয় বলেই হয়তো অক্সপেকারদের ওপর তার এই বিরূপ আচরণ। কারণ দেখা গেছে বয়জ্যেষ্ঠ জলহস্তিদের পিঠে অক্সপেকার বসায় তারা মোটেও বিরক্ত নয়, বরং বিনামূল্যে সেবা পাওয়ার আনন্দই তাদের মাঝে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫