ঢাকা: ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে।
‘ভালোবাসার জন্য আবার আলাদা কোনো দিন লাগে নাকি’ কিংবা ‘এটা ভালোবাসা না বেহায়াপনা’। একদিকে যেমন এ ধরনের অনেক নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল, ঠিক তেমনি আবার ‘অনেক কিছুই তো আমরা একদিনের জন্য করি, এটাও না হয় করলাম’। আরও বললে, ‘ভালোবাসলে যে শুধু একটা ছেলে বা মেয়ের হাত ধরে হাঁটছি তা তো নয়, মা-বাবার সঙ্গেও তো অন্যভাবে সময় কাটাতে পারি’, এমন কথাও শোনা যায়।
সে যাকগে, আপনি কোন দলে যাবেন, না কোন্দল করবেন, তা একান্তই আপনার বিষয়। কিন্তু ফি বছর এদিন কান পাতলে আকাশে-বাতাসে শোনা যায় ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি, এবং ভালোবাসি।
তো, আসুন জেনে নিই, কিভাবে চালু হলো আন্তর্জাতিক এ ভালোবাসা দিবস।
প্রচলিত নানা কথা-উপকথার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় মিথ বলে, রোমান এক পাদরি যুবকের নামানুসারে এসেছে ভ্যালেন্টাইনস ডে। সেসময় খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের অভিযোগে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের এক আদেশে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ভ্যালেন্টাইনকে।
তারিখটি মনে রাখার প্রয়োজন নেই, যে কেউই অনুমান করতে পারবেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর বছর, ২৭০ খ্রিস্টাব্দ।
যাই হোক, ওই যুবক যিনি একইসঙ্গে খুব জনপ্রিয় একজন চিকিৎসকও ছিলেন, বিশেষত শিশুদের জন্য। তিনি যখন জেলে বন্দি ছিলেন তখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে জেলের জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। কে জানে, হয়তো সেই থেকে শুরু ভালোবাসার চিঠির!
কিংবা, আরো একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার উল্লেখ করা যায়। বন্দি অবস্থায়ই জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেইন্ট ভ্যালেনটাইন। মৃত্যুর আগে ওই মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’।
তবে, ১৪ শতক বা তার কাছাকাছি সময়ে প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের কথা শোনা যায়। শুরুর দিকে শুধু গ্রিটিংস কার্ড বিতরণই ছিল এ উৎসব উদযাপনের মুখ্য বিষয়। আর এখন, চকলেট, ফুল, আরও কত কী এসে যুক্ত হয়েছে এ আয়োজনে। সামনে আরও কী রয়েছে দেখা যাক!
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫