ঢাকা: গরম অথবা প্রচণ্ড তেষ্টায় একগ্লাস ভালো মানের শরবতের কোনো বিকল্প নেই। শরীর মন উভয় চাঙা হয়ে ওঠে শরবতে।
পুরান ঢাকার চকবাজার জামে মসজিদের নিচে অবস্থিত নূরানি শরবতের দোকান। তেষ্টা মেটাতে জুড়ি নেই এই নূরানি শরবতের। পুরান ঢাকার স্থানীয় লোকজনসহ নতুন ঢাকার অনেকেও প্রতিদিন ভিড় জমান এখানে।
প্রায় ৮০ বছর হলো নূরারি শরবতের যাত্রার। জানা যায়, হাজি নূরউদ্দিন আহমদের নামানুসারে এই শরবতের দোকানের নামকরণ করা হয়। বর্তমানে হাজি নূরউদ্দিনের নাতি মকবুল হোসেন ব্যবসা দেখা-শোনা করছেন।
এখানকার ম্যানেজার আবুল বারক (৬৫) জানান, নূরানি শরবত পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী নাম। সবাই এক নামে নূরানি শরবতের দোকান চেনে-জানে। এখানে শুধু শরবতই বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, পানি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসই ভালো ও বিশুদ্ধ দেওয়ার চেষ্টা করি। ফলে এই সময়ে এসেও নূরানি শরবত সবার কাছে অনেক জনপ্রিয়। শীতসহ যে কোনো মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়।
লেবু, বিট লবণসহ অন্যান্য উপকরণের মিশ্রণে কয়েক স্বাদের লেবুর শরবত পাওয়া যায় এখানে। যা খেলে সত্যিই আপনার তৃষ্ণা জুড়াবে। এখানে গ্লাস প্রতি শরবত ১৫ টাকা করে।
এছাড়া শরবতের পাশাপাশি এখানে বর্তমানে দুই ধরনের লাচ্ছি পাওয়া যায়। স্পেশাল ও নরমাল। স্পেশাল লাচ্ছিটি জাফরান, মিষ্টি দই, কিশমিশ ও কয়েক পদের ফল দিয়ে তৈরি করা হয়। আর নরমাল লাচ্ছিতে অন্য সব উপকরণ কম থাকে। এখানে স্পেশাল লাচ্ছি ৩০ টাকা ও নরমাল লাচ্ছি ২৫ টাকা বিক্রি হয়।
গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা ধরে রাখার জন্য শরবত, লাচ্ছি ও অন্য উপকরণ দিয়ে তাদের সামনে তৈরি করা হয়। শরবতের পানির বিষয়টিও তারা ফ্লিটারিংয়ের মাধ্যমে বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করেন।
যেভাবে যাবেন
পুরান ঢাকার যাওয়ার যে কোনো যানবাহনে উঠে চকবাজার মসজিদের কাছে চলে যান। সেখানে গেলেই নুরানি শরবতের দোকানটি পেয়ে যাবেন। এছাড়া খুব সহজে যেতে চাইলে আজিমপুর এসে রিকশাযোগে যেতে পারেন চকবাজার। এতে রিকশা ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ হবে আপনার।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫