অফিসের কাজ নিপুণভাবে করার পরেও বসের পছন্দ হচ্ছে না। বছর শেষে অফিসে আপনার কাজের পর্যালোচনাও হচ্ছে নেতিবাচক।
প্রথমে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ুন
পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজের ভেতরের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রথমে একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছেন, ততক্ষণ একটু আত্মসংবরণ করুন। তবে বসকে জানতে দিন যে আপনি বিস্মিত হয়েছেন, কিছুটা হতাশও। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো ধরনের আচরণ করবেন না, আত্মরক্ষামূলকও হবেন না। নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার দরকার নেই।
বাজে চিন্তা বাদ দিন
প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব পোষণ থেকে বিরত থাকুন। চাকরি-বাকরিতে এমনটা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। নিজেকে তৈরি করতে হবে বসদের মনোভাব খেয়াল রেখে। পারফর্ম্যান্স কেমন দেখতে চান, তা আপনার কাজের পর্যালোচনায় তারা বলে দেন। এছাড়া উত্তরণের উপায় বের করতে আলাদা করেও বসদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। নিজের সীমাবদ্ধতাও তাদের বলুন। গুছিয়ে নিন নিজেকে।
উন্নতির উপায় খুঁজুন
নিজেকে কেবল এই প্রশ্ন করলেই চলবে না যে ভালো কৃতিত্ব প্রদর্শনে আমি কি করতে পারি? বরং সুনির্দিষ্ট কিছু উদহারণ খুঁজে বের করুন। যেগুলো আপনার পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়তা করবে। নিজেকে যাচাই করুন। অফিসে যারা ভালো কর্মদক্ষতা দেখিয়েছে, তাদের দিকেও নজর রাখুন।
৩
শব্দ শুনলেই চলবে না, অনুভব করুন
বস যখন পর্যালোচনা করেন, তখন তা কেবল কতগুলো শব্দ হিসেবে শুনলেই চলবে না। হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে। আবেগ প্রকাশে কতগুলো শব্দ উচ্চারণই যথেষ্ট নয়। ভাষা দিয়ে সব আবেগ প্রকাশও অসম্ভব। কাজেই অফিসে কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা হলে তা শোনার পাশাপাশি বসদের মেজাজও খেয়াল রাখুন। নজর রাখুন তাদের বিভিন্ন অঙ্গের ভঙ্গিতে। এতে বসের নির্দেশনা বোঝা আপনার জন্যে সহজ হবে।
বসকে বলুন, ধন্যবাদ
পর্যালোচনার সঙ্গে আপনি দ্বিমত পোষণ করছেন। মনে হচ্ছে, মূল্যায়ন সঠিক হচ্ছে না। বিবেচনা করা হচ্ছে ভুলভাবে। তারপরেও এতটুকু বলুন যে, আমাকে মূল্যায়ন করায় ধন্যবাদ। আমি জানি, সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করার যোগ্যতা আমার নেই। তবে সবকিছু ভালোভাবে শেষ করতে আমি চেষ্টা করবো সবটুকু দিয়ে। অবশ্যই আপনাদের মূল্যায়ন থেকে নিজেকে গড়ে তুলবো।
আবারো দেখা করুন
পর্যালোচনা শেষ, আপনি অফিস থেকে বের হতে চাচ্ছেন, তার আগে বসের সঙ্গে আরও একবার দেখা করুন। তাকে বলুন, আপনার কাছ থেকে আমি চিন্তা করার মতো অনেক কিছু জেনেছি। আমার কাজে এসবের প্রতিফলন ঘটাবো। ভুল শুধরে নিতে আপনার সঙ্গে আরও কথা বলবো।
গ্লাসের অর্ধেকটা ভরা
বসের পর্যালোচনা ইতিবাচক নিয়ে নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। ভাবছেন, কাজের গতি বাড়াতে এখন বসের সাহায্য দরকার। অথচ তিনি সেটা করছেন না, উল্টো আপনাকে নেতিবাচক মূল্যায়ন করছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার মনোভাব ইতিবাচক হতে হবে। গ্লাসের অর্ধেকটা খালি না ভেবে ভাবুন, গ্লাসের অর্ধেকটায় জল আছে।
নতুন লক্ষ্য ঠিক করুন
নিজেকে এগিয়ে নিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করে তাতে আঠার মতো লেগে থাকুন। লক্ষ্যে পৌঁছার আগে থেমে যাবেন না। এক মাস কিংবা বছরে আপনি কি হাসিল করতে চান, সে ব্যাপারে পরিস্কার আইডিয়া নেন। নিজের যোগ্যতা বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে। আপনাকে নিয়ে আপনার নিজেরও একটা মূল্যায়ন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫