সাপ মানুষকে কামড়ায়। সেটাই স্বাভাবিক।
ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে দো সোল রাজ্যের মোসতারদাস শহরে এমন আজব ঘটনাই ঘটেছে। তবে ভয়ানক বিষধর সাপকে কামড়ে মেরে ফেলার নায়ক যে, সে কিন্তু পূর্ণ বয়স্ক কেউ নয়! মাত্র ১৭ মাস বয়সের এক পিচ্চি। নাম ওর লরেঞ্জো। ওর তরুণী-মা জাইনে ফেরেইরা ফিগেইরা নিজেদের বাগানে পোষা কুকুরের সাথে ওকে খেলতে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ফিরে এসে দেখেন কুকুরটা আশেপাশে নেই। কিন্তু লরেঞ্জোর হাত দুটো রক্তে মাখামাখি আর মুখের ভেতর একটা বিষধর সাপ—‘‘...found the infant with blood on his hands and "with the snake in his mouth".
লরেঞ্জো যে সাপটাকে অনেক আগেই কামড়ে মেরে ফেলেছে সেটা তিনি বুঝতেই পারেন নি। তিনি ভেবেছিলেন জীবিত সাপটাকেই এখনো কামড়ে চলেছে তার ছেলে।
হতচকিত আতঙ্কিত হয়ে তিনি তার স্বামীকে খবর দিলেন ছেলে যেন সাপটাকে ছেড়ে দেয় সে ব্যবস্থা করতে। পরে দেখা গেল বেচারা সাপ অনেক আগেই লরেঞ্জোর কামড়ে অক্কা পেয়েছে। সাপ দেখে পোষা কুকুরটা লরেঞ্জোকে ফেলে পালিয়ে যায়। তখন লরেঞ্জো নিজেই সাপটাকে ধরে কামড়াতে কামড়াতে মেরে ফেলে। অবাক ব্যাপার হলো, সাপটা লরেঞ্জোর গায়ে একটা কামড়ও বসাতে পারেনি। সেই সুযোগও পায়নি।
যাহোক, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লরেঞ্জোকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তার গায়ে কোনো কামড়ের দাগ বা বিষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সে দিব্যি সুস্থ স্বাভাবিক আছে। এই অবাক করা ঘটনাটি এখন সারা ব্রাজিলে ‘টক অব দ্য টাউন’। পত্রপত্রিকা টেলিভিশন সবাই এ ঘটনা নিয়ে মাতোয়ারা। হবেই বা না কেন! এমন কাণ্ডও কি ঘটে! ঘটে তো বটেই নইলে কি আর খবর হয়: ‘Child bites venomous snake to death in Brazil.’
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
জেএম