বিখ্যাত আরএমএস টাইটানিক জাহাজের যাত্রা শুরু হয় ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল। কিন্তু জাহাজটির দু’ হাজার দু’ শ’ ২৪ জন যাত্রী ও নাবিকদের জানা ছিল না এটিই তাদের শেষ যাত্রা।
যাত্রার চারদিনের মাথায় এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। ১৪ এপ্রিল রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে বিশাল এক আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খায় টাইটানিক। আর এতে পানি নিরোধক কম্পার্টমেন্টগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়লে জাহাজের মধ্যে অবাধে ঢুকে পড়ে পানি। ডুবে যায় টাইটানিক।
মূলত সেদিন থেকেই টাইটানিক এক বিষাদগ্রস্ত ট্রাজেডিতে রূপান্তরিত হয়।
টাইটানিক-দুর্ঘটনার শিকার হয় প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার পর বেঁচে ফেরা যাত্রীদের জীবনের মোড় কোন দিকে ঘুরে গিয়েছিল বা তাদের পরিবারেরই বা কি অবস্থা হয়েছিল?
আমাদের এবারের আয়োজন টাইটানিক ট্রাজেডির দশটি বিরল ছবি নিয়ে। যে ছবিগুলো টাইটানিক দুর্ঘটনা-পরবর্তী ঘটনাসমূহের বাস্তব সাক্ষী হয়ে আছে।
এস.এস.ল্যাপল্যান্ড প্যাসেঞ্জার শিপে টাইটানিক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। জায়গাটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের প্লাইমাউথে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের জরুরি লাইফবোটে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বেঁচে যাওয়া স্বজনদের খবর পেতে রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন যাত্রীদের পরিবার-পরিজন।
উদ্ধারপ্রাপ্ত যাত্রীরা প্লাইমাউথ জাহাজঘাঁটিতে পৌঁছেন।
টাইটানিক ডুবে যাওয়ার পরদিন ডেইলি প্রেস পত্রিকার হেডলাইন ছিল—“মাঝসমুদ্রে টাইটানিক ডুবে যাওয়ায় দেড় হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি”।
টাইটানিক ডুবে যাওয়ার পারিপার্শ্বিক ঘটনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
টাইটানিক-দুর্ঘটনা কবলিত অভিযাত্রীদের স্বজনদের অপেক্ষা। যদি পরিবার ও প্রিয়জনদের কোনো খবর পাওয়া যায়।
লাইফবোট থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ কার্পেথিয়াতে উদ্ধারকৃত যাত্রীদের তোলা হচ্ছে। সেখানে উদ্ধারপ্রাপ্ত যাত্রী ছিল মাত্র সাতশ’র কিছু বেশি।
এটা টাইটানিকের শেষ লাঞ্চ মেন্যু। মেন্যুটির মূল কপির দাম ৫০ থেকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৩৮ লাখ ৯২ হাজার।
টাইটানিক থেকে পাঠানো বিপদগ্রস্ত বার্তা। সাহায্য চেয়ে টাইটানিকের মূল বার্তাটি ছিল—“CQD require assistance position 41.46 N 50.14 W struck iceberg Titanic”—বার্তার প্রতিটি অক্ষরে জড়ানো ছিল চরম দুর্দশা আর উদ্বেগ।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
এসএমএন/টিকে
ফিচার
টাইটানিক ট্রাজেডির ১০ দুর্লভ ছবি
ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।