ঢাকা: চাইনিজ বিজ্ঞানীরা পান্ডার ভাষা বুঝতে ও পান্ডারা কি করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তা জানার জন্য আরও কাছ থেকে তাদের পর্যক্ষেণ করেছেন।
চীনের পান্ডা সুরক্ষা সংস্থা চীনা কনজারভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ফর জায়ান্ট পান্ডা জানায়, পান্ডার সংকেত ধ্বনি থেকে থেকে তাদের ভাষা বোঝা যায়।
অস্ট্রিয়ান মিউজিশিয়ানসহ চীনের গবেষকদের একটি প্যানেল দশ বছর ধরে পান্ডার ভাষার ওপর গবেষণা করে আসছেন।
অত্যাধুনিক রেকর্ডিং ডিভাইস ও উপমা ব্যবহার করে দুইশো পান্ডার ১৩টি মৌখিক যোগাযোগের ওপর গবেষণা করে ফল পাওয়া গেছে।
গবেষকরা দেখেছেন, শিশু পান্ডারা কেবল বাক্যাংশ ব্যবহার করে। যেমন- জি-জি, কু-কু এবং ওয়াও-ওয়াও। যার অর্থ একাধারে- আমি ক্ষুধার্ত, আমি খুশি ও আমি খুশি নই।
এদিকে বয়স্ক পান্ডারা নানাভাবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। তারা সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গর্জন করে, চিঁ, ব্যা ব্যা শব্দসহ আরও অনেক শব্দ করে।
যখন কোনো মা পান্ডা ব্যা ব্যা শব্দ করে এর মানে হচ্ছে সে তার বাচ্চাকে খুঁজছে। আবার যখন কুকুরের মতো ভেউ ভেউ করে চিৎকার করে তখন বোঝা যাবে সে রেগে রয়েছে বা তাদের এলাকায় অপরিচিত কেউ ঢুকেছে।
আবার কোনো পুরুষ পান্ডা যখন ধারাবাহিকভাবে ব্যা... শব্দ করে তখন এর অর্থ হলো সে তার সঙ্গিনীর প্রেম প্রার্থনা করছে!
কনজারভেশন সেন্টারের গবেষক ঝাং হেমিন সিনহুয়া নিউজকে জানান, পান্ডার ভাষাতত্ত্বের ওপর এ গবেষণা পান্ডাদের স্বভাব ও অভ্যাস বুঝতে ও তাদের রক্ষা করতে প্রজননকারীদের সহায়তা করবে।
জায়ান্ট পান্ডা দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় চীনের স্থানীয় প্রজাতি। এটি বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। ইন্টারন্যাশন্যাল কনজারভেশন ইউনিয়নের হিসেবে বন্য জায়ান্ট পান্ডার সংখ্যা মাত্র এক হাজার থেকে দুই হাজার।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএমএন/এএ