ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের ১২ রহস্যময় পরিত্যক্ত স্থান (পর্ব-১)

‍ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
বিশ্বের ১২ রহস্যময় পরিত্যক্ত স্থান (পর্ব-১)

ঢাকা: বিশ্বের কিছু পরিত্যক্ত নির্জন স্থান নিয়ে ফিচারের দুই পর্বের বিশেষ আয়োজন। এর প্রতিটিই একসময় ছিলো জনবহুল আর কর্মমুখর জায়গা।

মনুমেন্টগুলোতে জমা ধুলো, মরিচা ও ফাটলের গায়ে লেগে রয়েছে আদি-মানুষের জীবনযাত্রার গন্ধ। একসময় যারা সেখানে বসবাস করতো, কাজ করতো ও ব্যবহার করতো। ঘুরে আসা য‍াক সেসব স্থান থেকে-


কলমানস্কোপ, নামিবিয়া
কলমানস্কোপ নামিবিয়ার একটি ছোট উপনিবেশ। উনিশ শতকের শুরুর দিকে জার্মান ঔপনিবেশিকরা স্থানটিতে হীরার সমৃদ্ধতার খোঁজ পায়। ওই সময় এলাকাটির খুব তর্জন-গর্জন চলছিলো। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর হীরার সম্পদের জোয়ারে ভাটা পড়ে যায়। হ্রাস পেতে শুরু করে হীরার খনি। ১৯৫০ সালের মধ্যেই শহরটি পুরোপুরি মরুভূমিতে পরিণত হয়। জনহীন এ স্থানে এখন আসেন কেবল আলোকচিত্রী ও পর্যটকরা।


ভাসমান বন, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
ভাসমান এ বনটির বয়স একশো দুই বছর। এসএস অ্যারিফিল্ড জাহাজের ওপর গড়ে উঠেছে এ বন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়ার হোমবুশ উপসাগরে বিশাল বাষ্পীয় এ জাহগাজটি ভেঙে যায়। জাহাজের ইয়ার্ড ভেঙে যাওয়ার জাহাজটি এভাবেই থেমে যায়। সেই থেকে অসাধারণ ও অদ্ভুত ভাসমান জাহজের এ বনটি প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারার স্বাভাবিক ক্ষমতার উদাহরণ হয়ে আজও একই স্থানে  দাঁড়িয়ে রয়েছে।


হল্যান্ড দ্বীপের সর্বশেষ বাড়ি, যুক্তরাষ্ট্র
বাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের চেসাপিক বে’র অন্তর্গত দ্বীপ কলোনির অবিচ্ছিন্ন অংশ ছিলো। মোটামুটি উন্নত ছোট দ্বীপের উপকূল দ্রুত ভাঙনের ফলে ও ভূমিক্ষয় হওয়ায় দ্বীপের একমাত্র এ বাড়িটিই টিকে ছিলো। ২০১০ সালে হল্যান্ড দ্বীপের শেষ অস্তিত্ব এ বাড়িটিও ধসে পড়ে।


দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডার বসতিহীন দ্বীপ, যুক্তরাষ্ট্র
১৯৮১ সালে ফ্লোরিডা উপকূলে কেপ রোমানো অন্তরীপে এ গম্বুজ দালানগুলো নির্মাণ করা হয়। এগুলো তেল প্রস্তুতকারক বব লি’র গ্রীষ্মকালীন নিবাস ছিলো। পরে এগুলো ভগ্নদশায় পরিণত হয়। এদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।


পরিত্যক্ত কারখানা, ইতালি
১৮৬৬ সালে ইতালির সোরেন্তোর এ কারখানাটি পরিত্যক্ত হয়। কারখানায় গম ভাঙানো হতো। পাশেই ছিলো করাত-কলের ব্যবস্থা। তাজ্জো স্কয়ার নির্মাণের পর কারখানাটি সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।


নিমজ্জিত ইয়ট, এন্টার্কটিকা
ব্রাজিলিয়ান ইয়ট- মার সেম ফিম। এন্টার্কটিকার অ‍ার্ডলি উপসাগরে ডুবে যায় এটি। তীব্র বাতাস আর উত্তাল সমুদ্র নাবিককে জাহাজ ত্যাগ করতে বাধ্য করে। জাহাজ ডুবে গেলে এর উপর দিয়ে বহমান পানি বরফের আস্তরণে পরিণত হয়।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।