মাগুর মাছ তো মুঠোতেই পোরা যায়। কিন্তু সে তো দেশি মাগুর! মাগুর কিন্তু অনেক বড়ও হয়।
বিশাল আকৃতির জন্য একে ‘রাজকীয় মাছ’ বা ‘রয়্যাল ফিশ’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। মিঠা পানির এতো বড় মাগুর জেলেরা তো বটেই এমনকি প্রাণিবিজ্ঞানীরাও অবাকই হয়েছেন।
মেকং নদীর এই অতিকায় প্রজাতির মাগুর নিয়ে গত ২০ বছর ধরে গবেষণা করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক জেব হোগান। ‘এটা আসলেই অসাধারণ’-বলে তিনি নিজেও বিস্ময় প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই দৈত্যাকার মাগুরটি যখন জেলেদের জালে ধরা পড়ে তখন তিনি নিজে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তার ভাষায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গত ১০০ বছরেও এতো বিশাল আকারের মাগুর ধরা পড়েনি। এমনটা কোটিতে একটা ঘটে। ’
মাগুরটি বাজারে বিক্রি করতে না দিয়ে তারা এটির গায়ে ট্যাগ লাগিয়ে একে আবার ছেড়ে দিয়েছেন মাঝ নদীতে। উদ্দেশ্য মাগুরটার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা। হোগান নিজেও কিছুক্ষণ অতিকায় মাগুরটার সঙ্গে সাঁতার কেটেছেন। আর সে অনুভূতিকে তিনি বর্ণনা করেছেন ‘অবিশ্বাস্য’ বলে।
খারাপ খবর হচ্ছে, মেকং ক্যাট ফিশ বিলুপ্তির কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। কমতে কমতে এই মাগুর এখন শতকরা মাত্র দশভাগ টিকে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
জেএম