আমো হাজি। ইরানের একটি প্রদেশের বাসিন্দা তিনি।
নিঃসন্দেহে তার জীবনযাপন কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সঙ্গে তুলনীয় নয়। নিয়মবিরোধী সব কিছুই যেন আমো হাজির দৈনিক নিয়মের আওতায় পড়ে।
মাটিতে কবরের মতো গর্ত খুঁড়ে বা ইটের খোলা খুঁপড়িতে বসবাস করেন তিনি। জানা যায়, তার এমন জীবনব্যবস্থার পেছনে রয়েছে তরুণ বয়সে পাওয়া প্রচণ্ড এক মানসিক ধাক্কা।
বিভিন্ন মানসিক আঘাতের কারণে হাজি বেছে নিয়েছেন এমন বিচ্ছিন্ন জীবন। কোনো এক বিচিত্র কারণে প্রতিনিয়তই তার মনে হয়, পানি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তাকে অসুস্থ করে তুলবে। তাই বলে তিনি এতটাই নোংরা জীবনযাপন করছেন যা একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সত্যিই কঠিন!
ধুলোমাটির স্থায়ী আস্তরণ পড়ে গেছে হাজির শরীরে। গায়ের রঙ এতটাই মেটে হয়েছে যে, তিনি যদি কোথাও বসে থাকেন তাহলে তাকে ভাস্কর্য ভেবে ভুল করাটা অস্বাভাবিক নয়।
হাজির খাদ্য তালিকায় রয়েছে মৃত প্রাণীর পঁচা মাংস ও নোংরা পানি। কেউ তাজা খাবার বা পরিষ্কার পানি দিলেই অমো হাজির পাগলামি শুরু হয়ে যায়।
ধূমপানে অভ্যস্থ হলেও হুক্কা বা সিগারেট আগ্রহ নেই তার। বিভিন্ন প্রাণীর বর্জ্যভর্তি পাইপে আগুন জ্বেলে বিকল্প পদ্ধতিতে ধূমপান করেন তিনি।
রুক্ষ-শুষ্ক চুলগুলো নাপিত ডেকে না কাটালেও, নিয়মিতই আগুনে ঝলসে নেন। শীতের সময় উষ্ণতা পেতে মাথায় ব্যবহার করেন যুদ্ধে ব্যবহৃত পুরোনো হেলমেট।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএমএন/টিকে