ঢাকা: সমুদ্রতলের প্রাণীবৈচিত্র্য গুনে শেষ করা মুশকিল। সমুদ্রতল খুঁজলে এমন কিছু ক্ষুদ্র প্রাণী বা কীটের সন্ধান মিলবে যাদের দেখে কোনোমতেই পৃথিবীবাসী বলে মনে হবে না।
এলিয়েন সদৃশ এসব ক্ষুদ্র প্রাণীর বেশিরভাগই অাসলে খোলসবিহীন শামুক প্রজাতির। তবে খোলস হারিয়ে তারা পেয়েছে নতুন পরিচয়। যেমন, সেকোগ্লোসেন প্রজাতিকে কখনও বলা হচ্ছে সৌরশক্তিচালিত সামুদ্রিক স্লাগ। কারণ তারা শ্যাওলা থেকে ক্লোরোপ্লাস্টস ব্যবহার করে ও নিজেদের টিস্যু নিজেরাই খায়।
কস্টালিয়েলা কুরোশিমা
এটি সেকোগ্লোসেন সামুদ্রিক স্লাগের এক প্রজাতি। খোলসবিহীন ওপিসথোব্রাঞ্চ উরদপদ শামুকটি কস্টাসিয়েলিডি বর্গভুক্ত। কুরোশিমা, টেকটমি, ওকিনাওয়া ও রিয়েকু দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় এদের দেখা মেলে।
গ্লাকাস অ্যাটলান্টিকাস
এর অন্য নাম ব্লু অ্যাঞ্জেল, ব্লু ড্রাগন, ব্লু ওশেন স্লাগ ইত্যাদি। এরাও খোলসবিহীন উরদপদ শামুকবিশেষ। গ্লাউসিডাই বর্গভুক্ত এ শামুক লম্বায় তিন সেন্টিমিটার বা ১.২ ইঞ্চি হয়।
ফিলোডস্মিয়াম পয়েন্ডিমিয়েই
এরা সামুদ্রিক স্লাগের অন্যতম প্রজাতি। ফেসলিনিডাই বর্গভুক্ত খোলসবিহীন শামুক সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, হাওয়াই ও ক্যালেডোনিয়ায় পাওয়া যায়। এরা দৈর্ঘ্যে ৫০ মিলিমিটার।
ক্যাডলিনেলা ওরনেটিসিমা
কেন্দ্রীয় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এদের বিস্তৃতি। ক্রোমোডোরিডিডি পরিবারভুক্ত উরদপদ শামুক এরা।
জেনোলাস ফাসকাস
সামুদ্রিক স্লাগের এ প্রজাতি প্রোক্টোনোটিডি পরিবারভুক্ত। আধা-স্বচ্ছ প্রাণীটি কেনাই পেনিনসুলা, আলাস্কা থেকে কেন্দ্রীয় ক্যালিফোর্নিয়া ও উত্তর জাপানে পাওয়া যায়।
হিপসেলোডোরিস ক্যাঙ্গা
ভারত মহাসাগর ও হংকংয়ের সমুদ্র এলাকায় এদের বসতি। এদের শরীর হালকা নীল মেশানো ধূসর রঙের। শরীরে কালো ও হলুদ রঙের ছিট রয়েছে। সাদা ফুলকায় লাল রঙের রেখা টানা ক্ষুদ্র প্রাণীটি লম্বায় অন্তত ৭০ মিলিমিটার হয়।
সায়ার্স নিগরিক্যানস
এরা সেকোগ্লোসেন সামুদ্রিক স্লাগের প্রজাতি। প্রশান্ত মহাসাগরে এদের বসবাস।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এসএমএন/এএ