ঢাকা: সমাজ থেকে আলাদা হয়েছেন ২৫ বছর আগেই। বসবাসের জন্য মরুভূমির বুকে ঘর বেঁধেছেন।
রা পোলেত নামের এ ব্যক্তি গত ২৫ বছরে মরুভূমির এ গুহাকে রূপান্তর করেছেন এক ভাস্কর্য সমৃদ্ধশালাতে। গুহার বেলেপাথর কেটে খোদাই করছেন অসাধারণ সব কারুকাজ, দেয়ালচিত্র ও ভাস্কর্য। যা দেখলে মাথা ঘুরে যাবে সাধারণ মানুষের।
উত্তর নিউ মেক্সিকোর উচ্চ মরুভূমিতে অবস্থিত এ গুহার কাছাকাছি গেলেই শোনা যাবে হাতুড়ি নেহাইয়ের শব্দ। পোলেত খোদাই করছেন আরও একটি নতুন গুহার কারুকাজ।
অসংখ্য পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থন পেয়ে মাটির নিচের এ শিল্পশালা তৈরি ও সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে ভালোই দিন কাটাচ্ছেন পোলেত।
কিন্তু সমাজের বাইরে এসে এমন শিল্পচর্চার কারণে নানাবিধ প্রশ্নের মুখে তো তাকে পড়তে হয়েছেই। অনেকেরই ধারণা তিনি অন্ধকারে ডুবে গেছেন বা নেশাগ্রস্ত।
কিন্তু পোলেতের পাল্টা প্রশ্ন- কোনো শিশু যখন আপনমনে খেলে তখন কি তাকে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া বা নেশাগ্রস্ত বলা চলে? সেটা তো সহজাত।
সোজাসাপ্টা উত্তরে পোলেত জানান, কাজটা আমার ভালো লাগে তাই করি।
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এতো প্রশংসা পাওয়া সত্ত্বেও পোলেত নিজেকে শিল্পী বলে দাবি করেন না। গুহা খোদাই তার প্যাশন বলতেই তিনি ভালোবাসেন।
তবে স্বাধীন এ শিল্পীর জন্য রয়েছে সুখবর। পোলেতের একটি ডকুমেন্টারি ভিডিওচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। যা মনোনীত হয়েছে একাডেমি পুরষ্কারের জন্য!
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বকাংলাদেশ সময়: ০২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এসএমএন/এএ