জয়পুরহাট: জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগরের জাহাঙ্গীর আলম জ্যান্ত ব্যাঙ, কেঁচো, কাঁকড়া, শামুক, কাঁচা মাংস এমনকি বিষধর সাপ জনসম্মুখে চিবিয়ে খেয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন সবাইকে। তিনি ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত দুর্গম ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানের বিয়ার গ্রিলকে অনুসরণ করে এই অসাধ্য অভ্যাস রপ্ত করেছেন।
প্রতিকূল অবস্থায় চলাফেরার প্রায় সব অসম্ভব কর্মকাণ্ডগুলোর বেশ কিছুটা ইতোমধ্যেই রপ্ত করা এই সাহসী যুবককে এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উৎসুক শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
জাহাঙ্গীর আলম জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগর মহল্লার ঈদগাহ কলোনির বাসিন্দা পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামের ছেলে ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
পরিবারের সদস্যরা জানান, জাহাঙ্গীর আলম ছোট বেলা থেকেই খুব ডানপিটে, দুর্দান্ত সাহসী। ব্যাঙ, বিষধর সাপ খাওয়ার পাশাপাশি দুর্গম এলাকায় প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য গাছ ও ভবনসহ উঁচু উঁচু স্থান থেকে লাফিয়ে জীবন রক্ষার কৌশল রপ্ত করেছেন।
আরাফাত নগরের বাসিন্দা শামীম আহম্মেদ, জিল্লুর হোসেন, তানিয়া রহমান, লোপা আক্তারসহ অনেকেই জানান, জাহাঙ্গীর আলম ছোট বেলা থেকেই সৃজনশীল প্রকৃতির। তিনি গত কয়েক মাস ধরে যেকোন জ্যান্ত প্রাণি খাওয়ার অনুশীলনের পাশাপাশি উঁচু ভবন ও বিশাল আকৃতির গাছ থেকে লাফিয়ে পড়ার অভ্যাস রপ্ত করতে শিখে ফেলেছেন।
উদ্যমী যুবক জাহাঙ্গীর বর্তমানে যেখানেই যাচ্ছেন, কৌতূহলী শিশু-কিশোর-যুবকরা তার পিছু পিছু ছুটছেন। নতুন কিছু দেখার আশায়। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন তাকে এক নজর দেখার জন্য তার বাড়িতে ভিড় করছে। জাহাঙ্গীর যেন এখন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউল কাফী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলার জন্য এমন অভ্যাস থাকা খারাপ কিছু নয়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই বিচিত্র।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাওয়ার জন্য জাহাঙ্গীর আলমের এ অভ্যাস এ দেশের অন্যান্য মানুষকেও উদ্দীপনা যোগাতে সহায়তা করবে।
প্রখর ইচ্ছা শক্তির অধিকারী যুবক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ডিসকভারি চ্যানেলে নিয়মিত প্রচারিত দুর্গম ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানের মধ্যমণি বিয়ার গ্রিলের অনুকরণে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এমজেড