ঢাকা: ছেলেটির বয়স তখন মাত্র ছয় বছর। দাদার হাত ধরে প্রায়ই সে যেতো মাছরাঙা পাখি দেখতে।
শৈশবে দাদা রবার্ট মুরায়’র সঙ্গে স্কটল্যান্ডের কিরকুটব্রাইটের লেকপাড়ে মাছরাঙা দেখতে যেতেন। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছরাঙা দেখতে যাওয়ার স্মৃতি আরও স্পষ্ট হতে লাগলো অ্যালানের। অ্যালান ঠিক করলেন পুরোনো সেই লেকের ধারে ফের উড়ন্ত মাছরাঙার ডানায় চোখ রাখবেন।
গত ছয় বছরে প্রতিদিন শত শত ক্লিক করে উড়ন্ত মাছরাঙার ছবি তুলেছেন তিনি।
হিসেবে করে দেখা গেছে, চার হাজার দুইশো ঘণ্টায় তিনি মাছরাঙার ছবি তুলেছেন সাত লাখ ২০ হাজারটি।
স্কটল্যান্ডের ডামফ্রিস ও গ্যালোওয়ে থেকে অ্যালান জানান, পৃথিবীতে এমন ছবি তোলা সৌভাগ্যবান মানুষের সংখ্যা খুব কম। কারণ মাছরাঙারা বুলেটের গতিতে ওড়ে। তাই কাঙ্ক্ষিত ছবি তুলতে পারা যেমন ধৈর্যসাপেক্ষ, তেমনি ভাগ্যের ব্যাপার।
আমি প্রায়ই লেকের ধারে গিয়ে ছবি তুলতাম। প্রতি সেশনে ছয়শোটি করে ছবি তুললে পারতাম।
এখন সংগ্রহের হাজার হাজার ছবির মধ্য থেকে যখন সেরা একটি ছবি খুঁজে পাই তখন ভাবি, এই ছবিটি তুলতে কত কি-ই না করতে হয়েছে আমাকে। ছয় বছর লেগেছে একেকটা পারফেক্ট শর্ট পেতে।
সবশেষে গভীর বিষাদ নিয়ে অ্যালান জানান, ১৯৯৪ সালে তার দাদা পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।
অ্যালানের একটাই কষ্ট, তার দাদাকে নিজের তোলা ছবিগুলো দেখাতে পারেননি।
আমার বিশ্বাস মাছরাঙার এই ছবিগুলো দেখে তিনি খুব খুশি হতেন। তিনি হয়তো আমাকে নিয়ে গর্ব করতেন। জানান অ্যালান।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এসএমএন/এএ