ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

টাকাই হলো কষ্টিপাথর!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
টাকাই হলো কষ্টিপাথর!

ঢাকা: জগতে টাকাই নাকি সব। ‘তঙ্কা হি কেবলম!’ কথাটা কি আর এমনি এমনি বলা হয়! টাকার লোভ জয় করাটাও কঠিন কাজ।

কে কতো সৎ টাকার লোভ জয় করাতেই প্রমাণ মেলে। এ কারণে টাকাকে বলা হয় সতততার কষ্টিপাথর। মার্কিনীরা জগতের সবচেয়ে ধনবান জাতি। পুঁজিবাদের স্বর্গ আমেরিকায় ডলারই সব। ডলার কামানোর ধান্ধা আমেরিকানদের রক্তে। তো দুনিয়ার অর্থবিত্তের অঘোষিত রাজধানী নিউইয়র্কের সভ্যভব্য নাগরিকরা কতোটা নির্লোভ আর সৎ তা যাচাই করতে নেমেছিলেন সেদেশেরই এক ইউটিউব প্র্যাংকস্টার।  

তার মাথায় এলো এক অভিনব চিন্তা। নিজের পোশাকের চারপাশে ডলার গেঁথে তিনি নেমে পড়লেন নিউইয়র্কের রাস্তায়। সেই সঙ্গে পোশাকের সাথে লিখে দিলেন: ‘আপনার যা দরকার নিয়ে নিন’। এটা করার উদ্দেশ্য কে কী করে সেটা দেখা। যা যা ঘটলো তা দেখে দুষ্টু এই প্র্যাংকস্টারের তো আক্কেল গুড়ুম! ‘অভাব নয়, স্বভাব’—কথাটাই সত্য হলো। গরিব-গুর্বা লোকেদের চেয়ে দেখা গেল ডলারের লোভে বেশি লালায়িত তারাই, যাদের অর্থের অভাব নেই। ধনী লোকেরাই বরং তার পোশাকে সাঁটা ডলার নিতে মরিয়া হলো বেশি।

রসিক এই প্র্যাংকস্টারের নাম কোবি পারসিন। গত সপ্তাহে মানুষ ও মানুষের টাকার লোভ যাচাইয়ের মজার পরীক্ষায় নেমে তার যে শিক্ষাটা হলো তাকে একটা সংবাদ মাধ্যম বর্ণনা করেছে এভাবে: ‘The lesson? There is a big difference between "need" and "want."

হাফিংটন পোস্টকে কোবি পারসিন তার মজার অভিজ্ঞতার বয়ান দিতে গিয়ে বললেন, অদ্ভুত সব কারণ দেখিয়ে লোকজন তার পোশাকে সাঁটা ৫০ ডলারের নোট খুলে নিচ্ছিল। এক লোক তো তার কাছে স্বীকারও করলেন, টাকা-পয়সার কোনো অভাবই নাকি তার নেই। তবু মাগনা ডলার পাবার লোভ তিনি সামলাতে পারেননি।

আর এক মহিলা তার কাছ থেকে নিলেন ১৯ ডলার। তার নাকি ‘নেইল অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ আছে। কোবি পারসিনের কাছ থেকে মুফতে পাওয়া ডলারেই বিলটা মেটাতে চান তিনি।

কোবি আরও জানান, যারা যারা তার কাছ থেকে মুফতে ডলার বাগিয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই পরনে ছিল দামি পোশাক।

তিনি তাই ডলারলোভী এইসব ধনী লোককে জিজ্ঞেস করতে ছাড়েননি: ‘আসলেই কি আপনার টাকার দরকার?’: "I started questioning them, 'That bag's Givenchy. Do you really need the money?'" 

এর ৯০ মিনিট পর ঘটলো সবচেয়ে মজার ঘটনাটি। এবার এক গৃহহীন লোক  এগিয়ে এলো। কোবি পারসিনকে অবাক করে দিয়ে ওই গৃহহীন লোকটা তার কাছ থেকে নিল মাত্র দু’ডলার। কারণ এর বেশি ডলার নেবার দরকার তার নেই। তাই সে প্রয়োজনের বেশি এক ডলারও নিতে চাইলো না। কারণ খাবার কেনার জন্য তার দরকার ছিল ওই দু’ডলারই: "He only took $2!" Persin said. "He said that's what he needed for food."

ওই গৃহহীনের আচরণে মুগ্ধ-অবাক কোবি পারসিন তখনো তার পোশাকের গায়ে সেঁটে থাকা বাদবাকি ৬০ ডলার তুলে দিলেন তার হাতে।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
জেএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।