ঢাকা: আসমেলাশ জেফেরু। ৩৫ বছর বয়সী সাহসী এক যুবক।
জেফেরু আগে কখনই ওড়েননি। তবে এবারের প্রচেষ্টাটি বিগত পাঁচ মাস আগের প্রচেষ্টার চেয়ে অনেক বেশি সফল হবে বলে তার আত্মবিশ্বাস। গতবার ভাঙা চালকযন্ত্র তার স্বপ্নযাত্রাকে নস্যাৎ করে দেয়।
তবে তার আকাশযাত্রার ইচ্ছের শুরুটা হয়েছিলো এখন থেকে ১৫ বছর আগে। তখন তিনি ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স অ্যাভিয়েশন একাডেমির ডায়ার ডাওয়া একাডেমিতে ভর্তি হতে চেষ্টা করেন। তবে উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি হওয়ায় বা বলা যায় প্রয়োজনীয় উচ্চতার চেয়ে মাত্র এক সেন্টিমিটার কম হওয়ায় তিনি একাডেমি থেকে বাদ পড়ে যান। তবে ভাগ্য তাকে দমাতে পারেনি।
জেফেরু সিএনএনকে জানান, যদিও আমি পাইলট হতে পারিনি, তবে ঠিক করেছিলাম আমি নিজেই প্লেন তৈরি করবো। তারপর অাকাশে উড়বো।
স্বপ্নপাড়ি দিতে জেফেরু প্লেন ম্যানুয়াল ও ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে নিজেই শিখতে লাগলেন প্লেন তৈরির আদ্যপান্ত।
তিনি ১৯২০ ও ১৯৩০ সালে ব্যবহৃত শিক্ষানবিশ পাইলটদের ব্যবহৃত মডেল বেছে নিলেন। প্লেনের কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা গেলো, আর বাদবাকি আদ্দিস আবাবার মার্কাটো মার্কেট থেকে সেকেন্ড হ্যান্ডেড পণ্য হিসেবে কিনে নিলেন।
প্লেনের ৮.৫ মিটার পাখা অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা কাঠের ফালি দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু ফোর্ড ইঞ্জিন কেনা তার জন্য ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ালো। তাই তিনি বিকল্প হিসেবে ভক্সওয়াগন বিটেল গাড়ির ইঞ্জিন ব্যবহার করেন।
জেফেরু জানান, বিমানে উড়ে যাওয়া খুব বড় কোনো বিষয় না। অবতরণ করাটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
যদিও প্লেন তৈরির পেছনে নিজ পরিবারের সমর্থন পেয়েছেন তবুও চারপাশের মানুষের কিছু নেতিবাচক উক্তি তো জুটেছেই জেফেরুর কপালে।
জেফেরু বলেন, অনেকেই আমাকে পাগল বলেছে। আবার অনেকেই বলেছে ইথিওপিয়ায় বসে কী করে আমি প্লেন তৈরির কথা ভাবছি।
তবে বরাবরই নিজের উদ্যোগ সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে জেফেরুর কাছে।
আমি নিশ্চিত আমি উড়তে পারবো। জানান তিনি।
জেফেরুর স্বপ্ন তিনি নাসার অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি নিশ্চয়ই তা হতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসএমএন/এএ