গাবতলীর (বগুড়া) পোড়াদহ মেলা থেকে ফিরে: পোড়াদহে শেষ হলো লাখো মানুষের প্রাণের মেলবন্ধন হিসেবে পরিচিত ‘মাছ ও বউ’র মেলা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় চারশ’ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে বগুড়ার গাবতলীতে পোড়াদহ নামে স্থানে এই মেলা হয়ে আসছে।
তিথি অনুযায়ী, মাঘের শেষ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ মেলা বসে। প্রথমদিন চলে মাছের মেলা। আর দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বউদের দখলে থাকে মেলা। এরপর যথারীতি ঐতিহ্যবাহী এ মেলাকে বিদায় জানাতে হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ফেব্রুয়ারি) দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখে বিরহের সুর শোনা যায়।
মেলা সাঙ্গ হলেও মেলায় বসা কিছু দোকানপাট গুটিয়ে নিতে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
শাহজাহান আলী, আবু জাফরসহ একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, ঈদ-পূজার পর বগুড়াসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলার মানুষের সবচেয়ে বড় উৎসব পোড়াদহ মেলা। মেলাটি সাঙ্গ হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হলো প্রতীক্ষা আর ক্ষণ গণনার পালা। বাঙালির প্রাণের এই মেলা আবারও উৎসবের আমেজ নিয়ে ফিরবে। কিন্তু এর জন্য একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে।
আগতদের কেউই যেন তাদের প্রাণের মেলাকে খালি হাতে বিদায় জানাননি। বড় ও মাঝারি আকারের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনতে দেখা গেছে গৃহকর্তাদের। আর বউদের দেখা গেছে বাহারি সব প্রসাধন সামগ্রী কিনতে। ছোটদের রকমারি খেলনা কিনতে দেখা গেছে।
মেলায় আসা জামাই সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, মেলা বাঙালির হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্য। এ মেলায় এসে ভীষণ ভালো লেগেছে।
কলেজ পড়ুয়া মমতা, রোমান ও সাবিনা বাংলানিউজকে বলেন, পোড়াদহ মেলা আজও বহন করে চলেছে বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। মেলায় এসে নতুন অভিজ্ঞতা হলো।
মাছ ব্যবসায়ী শাহাদৎ হোসেন বাবু, মিষ্টি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, কসমেটিকস ব্যবসায়ী জোবেদা বেগমসহ মেলায় অংশ নেওয়া একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসায়ীরা এক বছর ধরে এই মেলার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকেন। সেই মেলার বিদায় ঘণ্টা বাজায় সবার মতো আমারও ভীষণ খারাপ লাগছে।
** বউদের কেনাকাটার দৌড়!
** মাছ ও মিষ্টি ঘিরে জামাই উৎসব
** রেকর্ড পরিমাণ মাছের আমদানি
** মাছের মেলায় ১০ কেজি মাছ মিষ্টি!
** ৬০ কেজির বাঘাইড়, দাম ৯০ হাজার!
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
এমবিএইচ/আরএম