ঢাকা: রসুঁই ঘরের তরি-তরকারি থেকে শুরু করে গৃহস্থালীর কাজের চেঙ্গারি-বিনি-কুলা-টুকরি; পুকুরের জ্যান্ত মাছ থেকে সবুজ ক্ষেতের টাটকা সবজি-ফলমূল; গরুর দুধ থেকে দেশি মুরগি; গায়ে জড়ানোর পোশাক থেকে শুরু করে রূপচর্চার প্রসাধনী। যাপিত জীবনের প্রয়োজনীয় সব পাওয়া যায় মেরাদিয়ায়।
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী রোডের শেষ মাথায় মেরাদিয়া। এই মেরাদিয়ায় একসঙ্গে ‘সব’ পেতে স্থানীয়দের অপেক্ষা করতে হয় সপ্তাহের বুধবারের জন্য।
সেদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেরাদিয়ার সাপ্তাহিক এই হাট জমে ওঠে স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ক্রেতাদের সমাগমে।
পণ্যের পসরা সাজিয়ে এখানে বসেন নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, ঢাকা ও তৎসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। এদের বেশিরভাগই এখানে আসেন ট্রলারযোগে তুরাগ-শীতলক্ষ্যা-বালু নদী পাড়ি দিয়ে।
সম্প্রতি এ হাটে ঘুরে দেখা যায়, এখানে মিলছে শাড়ি, থ্রি পিস, ওড়না, লুঙ্গি, গামছা থেকে শুরু করে সব ধরনের পোশাক-আশাক ও প্রসাধনী সামগ্রী। মিলছে চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য; ইলিশ, বোয়াল, রুই, কাতল, চিতল, পুটি, টেংরা, টাকি ইত্যাদি মাছ; ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম, লাল শাক, পালং শাকসহ সবরকমের সবজি। পসরা সাজানো আছে কলা, আনারস, বরই, পেয়ারা, আপেল, কমলা, জাম্বুরা, বেল, তেঁতুল ইত্যাদি ফলেরও।
ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কের ওপর এই হাট বসানো প্রত্যেক দোকানীকে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় কর্তৃপক্ষকে। তবে, কর্তৃপক্ষ বলতে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিকদের বোঝালেও কারও নাম বলতে চাননি ব্যবসায়ীরা।
দিনভর হাট বসে থাকার কারণে মেরাদিয়ার এ সড়কে বুধবার তীব্র যানজট লেগে থাকে। তবে, ‘সব’ পাওয়ার সুবিধার কারণে স্থানীয়রা এই বাজার নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করেন না বলে জানান ক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এইচএ/