ঢাকা: ছোট পরিবার, ছোট সংসার- তাই বাড়িটাও ছোট। তার মানে এই না কম পরিসরে বাড়ি বলে কর্তা-কর্ত্রীকে দৈনন্দিন জীবনের বেশকিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ আর আসবাবকে বলতে গেলে ত্যাগ করতে হবে।
একরত্তি ছোট পরিসরকে সাজিয়ে গুছিয়ে কী সুন্দরই না করা যায়। দেখতে তো চমৎকার বটেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কমতি নেই এমনসব বাড়িতে। চোখ পড়লেই মন বলে- ওয়াও, হোয়াট এ বিউটিফুল লিটল হাউজ! তাহলে একবার দেখে নেই অাটটি ছোট্ট বাড়ির নকশা-
হিডেন স্টোরেজ
উত্তর-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোর বইজির নিকটবর্তীতে অবস্থিত বাড়িটির নকশা করেছেন মেসি মিলার। মাত্র একশো ৯৬ ফুট জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে এ বাড়ি। নির্মাণে খরচ পড়েছে ১১ হাজার মার্কিন ডলার। যার বাংলাদেশি মূল্য আট লাখ ৬১ হাজার সাতশো প্রায়। ছোট বাড়িটির প্রতিটি ঘরে অনেকগুলো করে ও রেফ্রিজারেটরের পেছনে একটি লুকোনো স্টোরেজ বানানো হয়েছে যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা যায়।
হান্ড্রেড ইয়ার’স ওল্ড
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার হান্টসভিলের বাইরে অবস্থিত বাড়িটি যদিও ছোট তবুও এতে রয়েছে জকুজি (Jacuzzzi) টাব ও ব্রিক ফ্লোর।
এ-ফ্রেম হাউজ
এ-ফ্রেমের অদ্ভুত বাড়িটির নকশা করেছেন ডেরেক ডিডরিকসেন। টেনেসির এ আবাসস্থল মাত্র ৮০ থেকে একশো ১০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে তৈরি সম্ভব।
গেস্ট-ফ্রেন্ডলি
তিনশো ১০ ফুটের এ কেবিনে রয়েছে একটি কুইন সাইজ বেড, ফুল সাইজ রান্নাঘর, ওয়াশিং মেশিন, ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভি, এমনকি ফায়ারপ্লেস। আটজন লোক দিব্যি আরামে দিন পার করতে পারবেন এ বাড়িতে।
লাইফ অন ওয়াটার
যারা একটু নিভৃতে সময় কাটাতে চান এ বাড়িটি তাদের জন্য। লেকে ভাসমান দুইশো বর্গফুট আয়তনের এ বাড়িটি মালিক দম্পতি গ্রীষ্মকালীন আবাস হিসেবে ব্যবহার করেন।
গ্লাস-ফিলড ডিসপ্লে
পুরো বাড়িটি তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রক্রিয়াজাত গ্লাস ও পূর্ণ ব্যবহৃত কাঠ। একশো ৪০ বর্গফুটের বাড়ি বানাতে সময় লেগেছে মাত্র চার দিন। খরচ পড়েছে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যার বাংলাদেশি মূল্য সাত লাখ ৮৩ হাজার তিনশো টাকা প্রায়।
শেফার্ডস হাট
২০ বাই আট ফুটের এ কেবিনে তিনটি কামরা। রয়েছে একটি প্রাইভেট ডেকও।
সাইলো স্টুডিও
পশ্চিম ম্যাসাচুসেটসের বার্কশায়ারে চার একর জমির উপর দাঁড়িয়ে সাইলো স্টুডিও কটেজ। ক্ষুদ্র এ আবাসে কোনো রান্নাঘর নেই। এটি একজন ভাস্করের গ্রীষ্মকালীন স্টুডিও।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসএমএন/এএ