ঢাকা: প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে তুলসি অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। এন্টিব্যাকটেরিয়াল এ ভেষজ উপাদান ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
তুলসি দু’ধরনের হয়। সবুজ রঙের লক্ষ্মী তুলসি আর রক্তবর্ণের কৃষ্ণ তুলসি।
এন্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ তুলসি স্ট্রেস কমায় ও ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ আয়ত্তে রাখে। এতে রয়েছে লিনোলিক অ্যাসিড যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। যার ফলে অ্যালার্জি, ইনফেকশন ও প্যাথোজেনের সঙ্গে লড়াই করে। পিউরিফাইং, ডেটক্সিফাইং ও ক্লিনজিং প্রপার্টিজ রয়েছে বলে তুলসি বাটা ও গুঁড়া অন্য হারবাল যেমন নিম, কাঁচাহলুদ ইত্যাদি উপাদানের সঙ্গে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের দাগ, পিম্পল ও ৠাশ দূর করতে এটি অনন্য এক হারবাল উপাদান।
ডেঙ্গুজ্বর হলে পানিতে তুলসিপাতা সিদ্ধ করে, এক চিমটি গোলমরিচ দিয়ে পান করুন। এন্টিব্যাকটেরিয়াল এ পানীয় শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দ্রুত রোগ সারিয়ে তোলে। এছাড়া যেকোনো অসুস্থতার সহজ ওষুধ হিসেবে পানিতে আদা, তুলসি পাতা, গোলমরিচ গুঁড়া সিদ্ধ করে পান করা যায়।
তুলসির সাত কথা-
• প্রাকৃতিক পিউরিফায়ার ও ক্লিনজার।
• ত্বকের সুস্থতায় খেতে পারেন ও প্রলেপ দিতে পারেন।
• প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক, এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টি-কার্সিওজেনিক।
• জ্বর, মাথাব্যথা, গলব্যথা, ঠাণ্ডা, কাশি, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, কৃমির প্রতিষেধক।
• হজমে সহায়ক।
• ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল, ভিটামিন এ ও সি তে পরিপূর্ণ।
• মশা ও পোকামাকড় তাড়ায়। পোকামাকড় কামড়ানোর পর ক্ষততে তুলসি বাটা লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ