ঢাকা: স্কুলের প্রম নাচের অাসর। ঝলমলে নাচের আসরে উন্মাতাল সব বন্ধুরা।
কিন্তু এই তানিয়াই যে সেই তানিয়া তা কে বলবে? ছিপছিপে বাদামি ত্বকের লাস্যময়ী সুন্দরী তানিয়া নিজেই এখন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক ও পুষ্টিবিদ। একইসঙ্গে লাইফস্টাইল ব্লগার। বর্তমানে নিজেই বহু মানুষকে ভালো শরীর গঠনে পরামর্শ দিচ্ছেন। গত তিন বছরের মধ্যে তিনি নিজের ওজন কমিয়েছেন প্রায় ৫৫ কেজি।
স্থূলকায় হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে তানিয়া জানান, রোজ কাঁদতে হতো আমাকে। স্কুল থেকে ফিরে মনে হতো আর যাবোই না স্কুলে। বাড়তি ওজন আত্মবিশ্বাস কেড়ে নিয়েছিলো আমার।
মোটা হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে তানিয়া জানান, আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার কারণে তাকে সস্তার খাবার খেতে হতো। যা সুস্বাদু হলেও ছিলো অস্বাস্থ্যকর।
সেসময় অতশত বুঝতেন না তানিয়া। কিন্তু একটা সময় পর তার শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে লাগলো। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যাসহ হাঁটাচলাতেও অসুবিধা বোধ করতেন তিনি।
একথা সত্য, দুঃসময় কখনও সৌভাগ্যকে ডেকে আনে। স্কুলের প্রম নাচের অনুষ্ঠানের খারাপ অনুভূতি থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, ওজন কমাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তানিয়া স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগী হন। পাশাপাশি একজন পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হন। তিনি তানিয়াকে শরীর থেকে ট্রান্স-ফ্যাট অপসারণ করার পরামর্শ দেন।
শরীরের এই ফ্যাট জমে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি থেকে। এসময় তানিয়া নিয়মিত বাড়িতে ব্যায়াম ও সপ্তাহে তিনদিন সাঁতারে যেতে শুরু করেন।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে শরীরের অর্ধেক মেদ ঝরিয়ে ফেলেছেন তানিয়া। পরে সার্জারির মাধ্যমে পেটের বাড়তি চর্বি অপসারণ করেন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গবাসী তানিয়া জানান, স্কুলের কটুক্তি করা বন্ধুরাই আজ অামাকে সুন্দরী বলে।
বর্তমানে তার ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ও ইউটিউবে রয়েছে তার দুই লাখ ৭৬ হাজার সাবস্ক্রাইবার। রাশিয়ার মধ্যে তানিয়াই প্রথম যিনি ইউটিউবে ভিডিওর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক পরামর্শ দেন।
সময় পাল্টায়, কখনও তা নিজেকেই পাল্টে নিতে হয়। তানিয়াও তাই। একসময় যে মেয়েটিকে সবাই উপেক্ষা করতো আজ সেই তরুণীই অনেক মানুষের আইডল। তার কাছে এখন স্লিম হওয়ার পরামর্শ নিতে আসে মানুষ।
এ বিষয়ে তানিয়ার টিপস, প্রথমেই মন ঠিক করতে হবে। ওজন কমানোর প্রথম শর্ত সংকল্প। পাশাপাশি নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখা চাই।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
এসএমএন/এসএস