আপনি ওয়াশিংটনের সিয়াটেলবাসীই হন বা আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে থাকুন; চলতি সময়টা রেইনকোট বা ছাতা কেনার জন্য আদর্শ। গবেষণা অন্তত তাই বলছে।
এমন পরিস্থিতির ফলস্বরূপ বিশেষ করে বিশ্বের শুষ্ক অঞ্চলসমূহে খাদ্য সংকট বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এ গবেষণা চ্যালেঞ্জ করেছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে শুষ্ক অঞ্চলগুলো আরও শুষ্ক এবং আর্দ্র অঞ্চলগুলো আরও আর্দ্র হয়ে পড়ছে। আর, শুষ্ক ও আর্দ্র উভয় স্থানেই জোরালো বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। জানান ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের জলবায়ু বিজ্ঞানী মার্কাস ডোনাট।
ডোনাট ও তার দল ১৯৫১ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত বিশ্বের ১১ হাজার আবহাওয়া স্টেশন থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।
বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই ধরাবাঁধা সময়ের মধ্যে চরম বৃষ্টিপাতের দিনগুলো প্রতি দশ বছরে এক থেকে দুই শতাংশ করে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি ও প্রবণতা শতাব্দির শেষের দিকে আরও তীব্রতর হয়ে বন্যার দিকে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
‘আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের মধ্যে একটি জোরালো সংযোগ খুঁজে পেয়েছি। বিশেষত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার বাইরে এই সংযোগ বেশি লক্ষণীয়। ’ জানান ডোনাট।
মেট অফিস-এর জেষ্ঠ্য জলবায়ু বিজ্ঞানী পিটার স্কট জানান, এ গবেষণার তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তীব্র বৃষ্টিপাত ও বন্যা জানান দেবে দ্রত জলবায়ু পরিবর্তন সামলে নিতে আমরা আসলেই কতটুকু সমর্থ।
নেচারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালের গবেষণায় দেখা গেছে এই ভারী বর্ষণের মাত্রা আরও বেড়েছে।
এ গবেষণাটি বিভিন্ন বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য সতর্কবাণীস্বরূপ। জানান ডোনাট।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মাছ ১০, ২০১৬
এসএমএন/টিকে