খুলনা: গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি—কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেকেই বাংলা কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এনেছেন কৃষ্ণচূড়াকে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের পথে-প্রান্তরেরও শোভা বর্ধন করে যাচ্ছে।
চোখ ধাঁধানো রক্তিম ফুলে নগরী সেজেছে যেন গ্রীষ্ম রোদের উত্তাপ গায়ে মেখে। টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল; পথচারীদের দৃষ্টি আটকে যায় অনায়াসেই। বহু দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন গাছগুলোতে আগুন জ্বলছে। শহর ঘুরলে মনে হবে কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল-কমলা-হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা দিয়ে নতুন রূপে প্রকৃতি যেন সাজিয়ে রেখেছে খুলনাকে।
খুলনা মহানগরীর ৪৫ দশমিক ৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ১ হাজার ২১৫টি শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কে কিংবা অনেক বাড়িতে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। গ্রীষ্মের এই আগুনঝরা দিনে যেন লাল বেনারসি পরা নববধূর সজ্জায় কারো অপেক্ষায় আছে কৃষ্ণচূড়া গাছ!
কৃষ্ণচূড়া ফুলে মুগ্ধ খুলনা আইটির অধ্যক্ষ শীলা দিত্য গাইন বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় হাঁটলে মনে হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুলে-ফুলে সাজানো হয়েছে শহরটাকে। কৃঞ্চচূড়ায় লাল রঙের আলপনা আঁকা হয়েছে!
তিনি আরও বলেন, গ্রামের হারানো সুন্দর্য ফুটে উঠেছে শহরে। হঠাৎ তাকালে মনে হয় সবুজের বুকে আগুন লেগেছে।
নগর বিশেষজ্ঞ বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক ড. সুরাইয়া ইয়াসমীন হীরা বাংলানিউজকে বলেন, গাছের সবুজ পাতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ফুলে গাছ রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষ্ণচূড়া মানেই রক্তিম রঙের স্বপ্নিল ছোঁয়া। গ্রীষ্মের খরতাপে সবকিছু যখন স্তিমিত তখন কৃষ্ণচূড়ার বাহারী সাজ মনে প্রশান্তি দিচ্ছে।
তিনি জানান, নগরীর যে দিকে দৃষ্টি যাচ্ছে সেদিকেই যেন কৃষ্ণচূড়া ফুলে চোখ আটকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এমআরএম/আইএ