হরিণঘাটা (বরগুনা) ঘুরে এসে: হঠাৎ করেই সামনে এসে পড়লো একদল চঞ্চল হরিণ। আশপাশের গাছের ডালে হঠাৎ উঁকি দিলো বানর।
বরগুনার এ ‘হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র’-এ প্রবেশ করা মাত্রই যে কেউ বিমোহিত হবেন। মুহূর্তমাত্র দেরি হবে না এ পর্যটন কেন্দ্রের মায়ায় জড়াতে।
প্রায় সারাবছরই এ পর্যটনে কেন্দ্রে মনের খোরাক যোগাতে আসেন আশপাশসহ দূর-দূরান্তের লোকজন।
এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে বন্ধু, স্বজন ও পরিবারের সদস্যের নিয়ে বাড়তি আনন্দ পেতে বরগুনার বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে এখানে এসেছেন প্রচুরসংখ্যক লোকজন।
ঈদের দিন থেকে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত পর্যটকদের ব্যাপক আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রে।
পর্যটন কেন্দ্র দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে কাছাকাছি লালদিয়ার চর থেকে সূর্যোদয় ও সুর্যাস্ত এবং সুন্দরবন ও ফাতরার চর দর্শন।
সেইসঙ্গে রয়েছে ঝাউ বন, বিষখালী নদীর মোহনীয় দৃশ্য, ওয়াচ টাওয়ারে উঠে প্রকৃতি উপভোগ ও নানা প্রজাতির গাছের সমারোহ এবং বিভিন্ন বণ্যপ্রাণী দর্শনের সুযোগ।
সরজমিনে হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি রাজশাহী, বাগেরহাট, ঢাকা, বরিশাল থেকেও অনেক পর্যটক এসেছেন এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করতে।
ঢাকার অদূরে সাভার থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাজমুল দম্পতি এসেছেন হরিণঘাটায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি যদিও এ এলাকারই সন্তান। বহুবার এখানে এসেছি। তারপরেও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ও আত্মীয়দের নিয়ে এসেছি আজ। এখানকার প্রকৃতি ও পাখির কিচিরমিচির শব্দে আমার মুগ্ধ।
ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাওন গাজী বলেন, যান্ত্রিক জীবনে একটু স্বস্তি ও আনন্দ পেতে এসেছি। একদিকে বিস্তীর্ণ সাগরের হাতছানি আর অন্যদিকে অকৃত্রিম বনের মধ্যে সবুজের সমারোহ।
চাঁদপুর থেকে আসা আ. কাদের নামে এক পর্যটক জানান, চাঁদপুর থেকে এসেছি হরিণঘাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে। দেখে খুবই ভালোই লাগলো।
তবে হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য নির্ধাতির ফি ২৩ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়।
এ বিষয় পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সোলায়মান হাওলাদার বলেন, এখানে আসা পর্যটকদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, বন বিভাগের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের নজরদারি রয়েছে। যাতে ভ্রমণ পিপাসুদের কোনো সমস্যা না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬
এসআর