নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত লাল গোলাপ অনুষ্ঠানের নিয়মিত দৃশ্য ছিল এটি। যেটি কয়েক মাস আগেও দেখা গেছে একটি বেসরকারি চ্যানেলে।
আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের প্রথম পর্যন্ত প্রবাসে কাটান সাংবাদিক শফিক রেহমান। নব্বইয়ের দশকে লন্ডনে ব্যাপকভাবে উদযাপন হতে তাকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’। উদার আধুনিক রোম্যান্টিক মনের মানুষ শফিক রেহমানকে বিষয়টি নাড়া দিলো। দেশে ফিরে চাইলেন দিবসটি সার্বজনীন করতে। ভালোবাসা তো শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার বিষয়বস্তু নয়। ভালোবাসা তো ছেলেমেয়ের বাবা-মায়ের প্রতি, ভাইয়ের প্রতি বোনের, বোনের প্রতি ভাইয়ের, বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের।
প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গণমাধ্যম সঙ্গে ছিল তার। টিভির পাশাপাশি তাই পত্রিকাও হয়ে উঠলো তার উদার ভালোবাসা সব শ্রেণীর বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার। শুরু করলেন প্রচার। পড়লো ব্যাপক সাড়া।
ক্রমে সেই আহ্বান নদীর মতো ফল্গু ধারায় বহমান হতে হতে ছড়িয়ে গেছে যেন সমুদ্রে। সমগ্র দেশ, দেশের তরুণ মন তাই এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভাসে লাল গোলাপের রঙে। দেশের সব তরুণ মন এদিন ওঠে জেগে। জয়তু ‘চিরতরুণ’ শফিক রেহমান। কেউ মনে রাখে, কেউ রাখে না….!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এএ