গবেষকরা বলছেন, পাখিটি এনান্টিয়র্নিথিন (enantiornithine) পরিবারের সদস্য। এসব প্রাগৈতিহাসিক পাখিদের ঠোঁটে ধারালো দাঁত ছিল।
লসঅ্যাঞ্জেলেস ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক লুইস সিয়াপ বলেন, এটা অবাক করার মতো ব্যাপার যে আমরা আধুনিক পাখিদের মধ্যে যেসব বৈশিষ্ট্য দেখি, সেগুলো বিকশিত হয়েছে ১০ কোটি বছরেরও আগে। জীবাশ্মটি আধুনিক পাখির বিবর্তন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে।
গবেষকরা জীবাশ্মটি পরীক্ষা করে বলেন, পাখিটির ওজন মাত্র ১০ গ্রামের মতো। একটা পূর্ণবয়স্ক তেলাপোকার চেয়ে কিছুটা বড় এর আকার। খুব অল্প বয়সেই পাখিটি মারা যায়, সম্ভবত মৃত্যুর একটু আগেই এটি ডিম থেকে বেরিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও সুইডেনের গবেষকদের একটি যৌথ দল এ ফসিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ কাজে তারা স্টেট-অব-আর্ট নামে এক নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এতে সিংক্রোট্রন নামে তীব্র আলো সৃষ্টিকারী এক প্রকার পার্টিকেল অ্যাকসেলেরেটর ব্যবহৃত হয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে গবেষকরা জানতে পারেন, পাখিটি তখনও উড়তে শেখেনি।
গবেষণাটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করে। কারণ এতে জীবাশ্ম গবেষণায় নতুন প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ করা গেছে।
গবেষক দলের প্রধান ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষক ফ্যাবিয়েন নল বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি জীবাশ্ম গবেষণায় প্রত্নতাত্ত্বিকদের অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছে। পাখির জীবাশ্মটি যখন আবিষ্কৃত হয়, তখনও সিংক্রোট্রন এর মতো প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়নি। অথচ জীবাশ্মটি আবিষ্কৃত হয় বেশ কয়েক বছর আগে স্পেনে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ