রোববার (২৫ মার্চ) শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে স্থাপনা শিল্পে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় গণহত্যার স্বীকার শহীদদের। একাডেমির উন্মুক্ত আঙিনায় এ স্থাপনা প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিল আলোক প্রজ্বলন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
সন্ধ্যায় এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।
এ সময় আসাদুজ্জামান নূর বলেন, যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেন, তাদের কখনোই ক্ষমা করা হবে না। পৃথিবী তাদের ক্ষমা করেনি, বাঙালিও ক্ষমা করবে না।
প্রদর্শনী সম্পর্কে তিনি বলেন, এ প্রদর্শনী বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে আশা করছি। এর মধ্য দিয়ে সবাই ২৫ মার্চ কালরাতের বর্বর নির্যাতনের সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে।
৭১’র বর্বরতার চিহ্ন হিসেবে এই ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ককশিট বা শোলা দিয়ে নির্মিত ১০৭১টি প্রতীকি লাশ। আছে ১০টি ছোট ঘর, ৪টি গণকবর, কাক, কুকুর, শকুন ইত্যাদি। সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৩১ মার্চ।
প্রদর্শনী সম্পর্কে শিল্পী মিন্টু দে বাংলানিউজকে জানান, সহজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরের সুবিধার্থে পাথরের পরিবর্তে এ শিল্পে শোলা ব্যবহার করা হয়েছে। শিল্পের মধ্য দিয়েই তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন ও আলোক প্রজ্জ্বলন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ মোমবাতি জ্বালিয়ে ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/আরবি