ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

নববর্ষ ও বসন্তের একত্রিত রূপ ‘নওরোজ’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৮
নববর্ষ ও বসন্তের একত্রিত রূপ ‘নওরোজ’ বাংলাদেশেও উদযাপিত হয় নওরোজ। ছবি: শাকিল/বাংলানিউজ

ঢাকা: ইরানের নওরোজ উৎসবকে অনেকে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে মনে করলেও তা মূলত নববর্ষের আয়োজন। এ উৎসব প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে উদযাপন করা হচ্ছে। মুঘল ও তাদের সমসাময়িক কর্তাদের হাত ধরে এ উৎসব আসে ভারতবর্ষে। 

শুক্রবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ইরানি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এসব কথা বলেন।  

ইরান কালচারাল সেন্টার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিকেলে একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

ড. গওহর রিজভী বলেন, ঢাকাতেও নওরোজ নতুন কিছু নয়। ঢাকাবাসী প্রায় ৫০০ বছর ধরে এটা পালন করে। অনেক আগে থেকেই পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এটা পালন করা হয়।  

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও  সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাউন্সিলর সৈয়দ মূসা হোসেন।

স্বাগত বক্তব্যে নতুন বছরের আগমন ও নওরোজ উপলক্ষে সকলকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, নওরোজ মানে নতুন। প্রকৃতির নতুন রূপ। এটি ইরানের সবচেয়ে প্রাচীন উৎসব। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজস্ব আচারে মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালন করা হয়।

‘ইরানের অধিকাংশ আচার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিপূর্ণ। নতুন বছরের আয়োজনগুলো ইরানিদের কাছে অনেকটা ঈদের মতো। শুধু উৎসব নয়, বরং নিজেদের নতুন আঙ্গিকে সাজানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসব অনন্য। ’

ম হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বসন্তের প্রথম দিন হিসেবে মানা হয় ২১ মার্চ। এটা এসেছে এ নওরোজ থেকে। আমাদের ঈদ, নববর্ষ ও বসন্ত আয়োজনের সব কিছু আছে তাদের এ আয়োজনে। তারা এটা করে দু'সপ্তাহ ধরে। এছাড়া ইরানিদের সংগীতে বাদনও বিশেষ আগ্রহের। এটা পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক রঙিন করে তোলে।

আয়োজনে আলোচনা পর্বের শুরুতে ইরানের নববর্ষ উদযাপনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সংগীত পরিবেশন করে ঢাকস্থ ইরানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশুরা।  

আলোচনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও  সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ইরান ও বাংলাদেশের নববর্ষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সমীর বাউল ও শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।