ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

আমাজন দফতরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন নিষিদ্ধ!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৮
আমাজন দফতরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন নিষিদ্ধ! জেফ বেজোস

ঢাকা: আমাজন প্রতিষ্ঠাতা ‘বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি’ জেফ বেজোসের অফিসে এক অদ্ভুত আইন প্রচলিত। সেখানে মিটিংয়ের সময় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন নিষিদ্ধ। এর বদলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা তাদের আইডিয়া জমা দেন একটি ছয় পৃষ্ঠার বর্ণনামূলক স্মারকলিপিতে (মেমো)। 

জেফের এই অভিনব আইডিয়া কেমন কাজ করে, অথবা এমন অদ্ভুত নিয়ম কেন চালু করা হলো তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এবার প্রথমবারের মতো এ নিয়মটি চালুর কারণ খোলাসা করলেন ৫৪ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা।

 

সম্প্রতি আমাজনের শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জেফ বেজোস বলেন, আমাজনে আমরা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের বদলে ছয় পৃষ্ঠার মেমো উপস্থাপন করি। মিটিং শুরুর আগে প্রত্যেকে মেমোটি নীরবে মনোযোগ দিয়ে পড়ি।  

তিনি জানান, হাইস্কুলের ছেলেমেয়েরা যেভাবে ক্লাসে রিডিং পড়ে, মিটিংয়েও একইরকমভাবে মেমোটি পড়া হয়। খেয়াল রাখা হয়, সবাই যেন একইসময় একই পৃষ্ঠায় চোখ রাখেন।

এভাবে মিটিংয়ে কর্মীদের আইডিয়াগুলো সবার জন্য একদম পরিষ্কারভাবে বোধগম্য হয়। কর্মীদের কিছু কিছু লেখা খুবই ভাবনাপূর্ণ হয়ে ধরা দেয় এবং মিটিংয়ে উন্নত মানসম্পন্ন আলোচনার সূত্রপাত ঘটায়। তবে কোনো কোনো সময় এর বিপরীতটাও ঘটে আমাজনের মিটিং রুমে।

জেফের মতে, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের সময় সবার মনোযোগ থাকে স্লাইডের লেখাগুলোর দিকে। কিন্তু সেখানে বিস্তারিত কিছু লেখা হয় না, আবার বক্তার দিকেও পুরোপুরি মনোযোগ দেয় না সবাই। এটাই জেফের বিরক্তির মূল কারণ। অপর দিকে ছয় পৃষ্ঠার মেমোতে সবকিছুর ডিটেইল বর্ণনা পাওয়া যায়। আইডিয়াগুলো বুঝতে সুবিধা হয়।

জেফ মজা করে বলেন, এটা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিচিত্র মিটিং কালচার। প্রতিষ্ঠানে নতুন কোনো কর্মী এলে এই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়তে হয় অনেক সময়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৩ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।