২৩ জুলাই (সোমবার) ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধের এ মহান সংগঠককে নানা আয়োজনে স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত আয়োজনে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
মনজুরুল ইসলাম বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একজন নায়ক, যিনি তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ছিল প্রগাঢ় বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদ হত্যার পর বাংলাদেশ গন্তব্যহীন হয়ে পড়ে। দেশ এখন আবারও বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের কাঙ্খিত গন্তব্য ফিরে পেয়েছে।
সারওয়ার আলী বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন অনন্য সাধারণ সংগঠক। এমন নিরহংকারী, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ এ অঞ্চলের আর কোন দেশে এ যাবৎকালে আর পায়নি। মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের দায়িত্ব, প্রশাসনিক ভিত্তি প্রদান, মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করা তাজউদ্দীন আহমদের অনন্য কীর্তি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদে কন্যা সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
তাজউদ্দীন আহমদের ভাষণ পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও কথামালা দিয়ে সাজানো ছিল পুরো শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান। আয়োজনে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একটি ভাষণ শোনানো হয়।
এছাড়া তাজউদ্দীনের উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু ভাষণের খন্ড খন্ড অংশ পাঠ করে শোনান সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভাস্কর্য চত্বরে ‘তাজউদ্দীন আহমদ: জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এ প্রদর্শনীতে তাজউদ্দীন আহমদের নানা সময়ের ছবি স্থান পেয়েছে। এ যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামরে একেটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের ঐতিহাসিক বিভিন্ন সিদ্ধান্তের স্মারক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব শ্রেণীর দর্শনার্থীদের জন্য এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত রেখেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আট দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৩০ জুলাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা; জুলাই ২৩, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ