তাপদাহে শরীর শীতলে বিভিন্ন বিতর্ক ও যুক্তি এবং এগুলো নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ জেনে নেওয়া যাক।
তাপদাহে গরম পানি নাকি ঠাণ্ডা পানি: তাপদাহে নিজেকে সতেজ ও শীতল রাখতে আমরা প্রচুর পানি পান করি।
গরম পানি পান করতে অনেকেই পরামর্শ দেন। এর পিছনে কিছু যুক্তিও রয়েছে। গরম পানি পানে অল্প সময়েই শরীর গরম হয়ে যায়। ফলে প্রচুর ঘামও ঝরে শরীর থেকে। শরীরও ঠাণ্ডা হয়ে যায় খুব দ্রুত, থাকা যায় সতেজ। বলে রাখা ভালো, প্রতি ঘণ্টায় মানবদেহ দুই লিটারের বেশি ঘাম ঝরাতে পারে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে এটা ভালো পদ্ধতি হতে পারে।
আবার অনেকে গরমে ঠাণ্ডা পানি পানের পরামর্শ দেন। এ নিয়ে কিছু গবেষণাও হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ঠাণ্ডা পানি পানে সতেজ হওয়া যায় দ্রুত।
তবে অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থার্মোরেগুলেটরি ফিজিওলজি’র সহযোগী অধ্যাপক ওলি জে ও তার দল শরীরে বিভিন্ন স্থানে আটটি থার্মোমিটার রেখে পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, গরম পানি দ্রুত শরীর শীতল করে। কারণ গরম পানিতে শরীরে ঘাম ঝরে।
ফ্যানের বাতাস: ফ্যানের মৃদু বাতাস কি আমাদের শরীরকে শীতল করে? ফ্যান বায়ুমণ্ডলের বাতাসকে ঠাণ্ডা করে অনেকেই এমন ভাবেন। আসলে ফ্যান বায়ুমণ্ডলের বাতাসকে ঠাণ্ডা করে না। ফ্যানের পাখা চারপাশে ঘোরে। মানবশরীরের স্বাভাবিক শীতলীকরণ প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে মৃদু বাতাস দেয় ফ্যান। প্রশ্ন কীভাবে এ প্রক্রিয়া কাজ করে? শরীরে তাপ সঞ্চালনের মাধ্যমে, শরীরে ঘাম ঝরে যায়। ঘাম ঝরার পর বাষ্পীভূত হয়ে শরীর শীতল হয়।
ফ্যানের বাতাস মানবশরীরের এ স্বাভাবিক শীতলীকরণ প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়। ফ্যানের বাতাস ঘামকে দ্রুত বাষ্পীভূত করে।
জানালা খুলে দেওয়া: গরমে শরীর শীতল করতে আমরা অনেকেই জানালা খুলে দেই। যাতে মৃদু বাতাস আসতে পারে। কিন্তু দিনের বেলা অনেক ক্ষেত্রেই এর বিপরীতটা ঘটে।
গরমে শীতল হতে শুধুমাত্র তখনই জানালা খুলে রাখা দরকার, যখন বাইরের বাতাস ঘরের ভেতরের বাতাসের থেকে শীতল থাকে। আর এমনটা সাধারণত রাতের বেলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এএইচ/এএ